রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় বিএনপির ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

রংপুর
৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে গঙ্গাচড়া উপজেলার পুরাতন সোনালী ব্যাংক মোড় এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতিসহ ৭জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

পুলিশ জানায়,গতকাল শুক্রবার রাত থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মীর কাশেম মিঠুসহ ৭জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এরমধ্যে মিঠুসহ ৩জন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এবং ৪জন প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-এ) হোসাইন রায়হান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।' 

গত বৃহস্পতিবার, ঘটনার দিন ৪জনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জে যুবদল নেতা শাওন হত্যাসহ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার গঙ্গাচড়ায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় বিএনপি। 

বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে উপজেলার পুরাতন সোনালী ব্যাংক মোড় এলাকায় জড়ো হতে থাকেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা পুরাতন সোনালী ব্যাংক মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গঙ্গাচড়া বাজারের দিকে যেতে চাইলে বাঁধা দেয় পুলিশ। 

এতে পুলিশ ও বাজারের দোকান উদ্দেশ্য করে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া থানার ওসি দুলাল হোসেনসহ ১৫ পুলিশ সদস্য ও  বিএনপি নেতাকর্মী, পথচারী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক মিলে অর্ধ শতাধিক মানুষ আহত হন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারসেল মেরে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।

এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে গঙ্গাচড়া মডেল থানার উপপরিদর্শক এসআই বুলবুল আহমেদ বাদী হয়ে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত দেড় থেকে ২ হাজার জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

3h ago