রূপগঞ্জে যুবদল কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ আ. লীগের বিরুদ্ধে

নারায়ণগঞ্জ

রাজধানীতে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার যুবদলের নেতাকর্মীরা।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রূপগঞ্জের চনপাড়া এক নম্বর খেয়াঘাটে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় যুবদলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং প্যানেল চেয়ারম্যান বজলুর রহমানের অনুসারীরা এ হামলা চালিয়েছে। হামলায় যুবদলের ২ নেতা এবং বিএনপির ১ নেতা আহত হয়েছেন।

জেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম ফারুক খোকন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বুধবার রাত থেকেই চনপাড়ায় বজলুর রহমানের অনুসারীরা যুবদলের নেতাকর্মীদের সমাবেশে না যাওয়ার জন্য হুমকি-ধামকি দেন।'

'পরে সকালে নদীপথে ঢাকায় যাওয়ার চেষ্টা করলে নেতাকর্মীদের ওপর বজলুরের অনুসারী রায়হান ও উজ্জ্বল নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়,' বলেন তিনি।

হামলায় রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি তাহের আলী, একই ওয়ার্ডের যুবদলের সভাপতি কালু মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

হামলার শিকার আবুল কাশেম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা যেন ঢাকায় সমাবেশে যেতে না পারি, সেজন্য চনপাড়ার বিভিন্ন স্থানে মহড়া দেয় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। নৌকায় শীতলক্ষ্যা নদী পার হয়ে ডেমরা দিয়ে আমরা ঢাকার সমাবেশে যেতে চেয়েছিলাম।'

'নৌকা মাঝ নদীতে থাকা অবস্থায় দূর থেকে ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকায় ১০-১৫ জনের একটি দল আমাদের দিকে এগিয়ে আসে। পরে মাঝিকে নৌকা ঘাটে নিতে বলি। ঘাটে যাওয়ার পর ওই নৌকাটিও ঘাটে আসে এবং নৌকা থেকে কয়েকজন নেমে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে আমাদের পেটাতে থাকে,' বলেন তিনি।

বিএনপি নেতা তাহের আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘাটে নৌকা থামার পর অনেকে দৌড়ে পালাতে পারলেও আমি পারিনি। তখন আমাকে স্ট্যাম্প দিয়ে তারা পেটায়। আমি সেখানেই জ্ঞান হারাই।'

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি ফার্মেসিতে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে বলে জানান তিনি।

কারা হামলা করেছিল জানতে চাইলে, বিএনপির এই নেতা বলেন, 'হামলাকারীদের কয়েকজনকে চিনি। তারা সবাই ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু তাদের নাম বলতে পারব না। নাম বললে বাড়িতেও থাকতে পারব না।'

'পালাইয়া বাঁইচা রাজনীতি করতাছি, পরে জানেও বাঁচুম না,' যোগ করেন তিনি।

এদিকে হামলা এবং বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের সমাবেশে যেতে নিষেধ করা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা বজলুর রহমান। 

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত রূপগঞ্জ ছিলাম। এরপর ঢাকার বনশ্রীতে আমার বাড়িতে চলে যাই। সকালে হামলার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। কোনো হামলার ঘটনায় আমি বা আমার পরিচিত কেউ জড়িত না।'

হামলার বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাননি বলে দাবি করেছেন রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হামলার কোনো খবর আমরা পাইনি। এই বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Bridge this year, full benefits not before 2030

The Bangabandhu Railway Bridge over the Jamuna is set to be inaugurated next month, but people will not get the full benefit of it until at least 2030.

6h ago