যুবলীগের মহাসমাবেশ

সম্রাটের ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ ঘিরে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ব্যানার। ছবি: স্টার

যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ডাকা যুব মহাসমাবেশকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। আগামীকাল শুক্রবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহাসমাবেশে শোডাউন দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজর কাড়ার চেষ্টা করবেন তিনি।

মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত ২২ আগস্ট সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর রাজনীতিতে নিজের উপস্থিতি জানান দিতে প্রস্তুতি শুরু করেন সম্রাট। তার অনুসারীরা ইতোমধ্যে সম্রাটের নাম ও ছবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ ঢাকা দক্ষিণের বিভিন্ন এলাকায় টাঙিয়েছেন। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে তাদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন সম্রাট।

আজ বৃহস্পতিবার সমাবেশস্থলের আশপাশের এলাকা, পল্টন-মতিঝিল, গুলিস্তান, কাকরাইল, চকবাজার ও লালবাগের বিভিন্ন রাস্তায় সম্রাটের নামে ব্যানার ও ফেস্টুন দেখা যায়।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ছবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন। ছবি: স্টার

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ ইউনিটের সাংগঠনিক সম্পাদকদের একজন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শুক্রবার মহাসমাবেশে সম্রাটের নেতৃত্বে প্রায় ৫০ হাজার নেতা-কর্মী মাঠে থাকবেন। নিজের নাম দিয়ে তৈরি টুপি-গেঞ্জি তৈরি করে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মহাসমাবেশে উপস্থিত থাকবেন তিনি।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে দেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অর্থপাচারসহ নানা অভিযোগের সঙ্গে সম্রাটের নাম আলোচনা আসে। ওই বছরের ৬ অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং একই দিনে তাকে সংগঠন থেকেও বহিষ্কার করা হয়।

প্রসঙ্গত, ১১ নভেম্বর যুব মহাসমাবেশ সারা দেশ থেকে ১০ লাখেরও বেশি লোক সমাগমের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুবলীগ। সমাবেশ উপলক্ষে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নাম ও ছবি সম্বলিত অসংখ্য ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ডে ভরে গেছে শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত এলাকা।

যুবলীগের দপ্তর সূত্রগুলো জানায়, যুবসমাবেশ হলেও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। দেশের ৬৪ জেলা থেকে মহাসমাবেশে কমপক্ষে ১০ লাখ নেতা-কর্মীর সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে সরকারবিরোধীদের নিজেদের সাংগঠনিক শক্তির জানান দিতে চায় যুবলীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। এ লক্ষ্যে ঢাকায় যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা করছেন। প্রস্তুতি সভা হচ্ছে দেশের সব জেলা-উপজেলাতেও।

সমাবেশ ঘিরে সাজানো হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে। নির্মাণ করা হচ্ছে সুবিশাল প্যান্ডেল। এ ছাড়া পুরো ঢাকা শহরের প্রধান প্রধান সড়কের পাশে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি যুবলীগের পতাকা দিয়েও সাজানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Hasnat calls for mass rally after Juma prayers demanding AL ban

The announcement came during an ongoing protest programme that began last night in front of Jamuna.

4h ago