নৌকাকে জেতাতে যুবলীগের কমিটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিক্সন

Nixon_Chowdhury.jpg
মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের তাদের নিজ জেলায় কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে গঠন করা নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এই নির্দেশ দিয়েছে।

এর মধ্যে যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সনকে ফরিদপুর জেলার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অথচ তিনি নিজেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।

শেখ ফজলে শামস পরশ যুবলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন। কো-চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান। সদস্যসচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মতিউর রহমান। কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন সংগঠনটির ১৮ জন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। সাত নম্বর সদস্য হিসেবে আছেন নিক্সন।

আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতে গত ৮ ডিসেম্বর কমিটির সদস্যদের একটি চিঠি দেওয়া হয়। এই চিঠির কথা এতদিন জানা না গেলেও আজ মঙ্গলবার সেটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহ। এ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ফরিদপুর-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য নিক্সন। তাকে নৌকার পক্ষে ফরিদপুর জেলায় কাজ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ অবস্থায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নিক্সনের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

জানতে চাইলে নিক্সনের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহদাৎ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, নিক্সন চৌধুরী যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হলেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের 'দলীয় ব্যক্তিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারবেন' এ সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তিনি পর পর দুবার ফরিদপুর-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিক্সন চৌধুরী এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এলাকাবাসীর দাবির মুখে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। এ অবস্থায় আমাদের পিছিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

 

Comments

The Daily Star  | English
rising misogyny in Bangladesh

The interim government’s silence over misogyny is tragic

There is chaos and dissent in every corner and no one seems to have a grip on anything.

8h ago