বরিশালে বিএনপির সমাবেশে লাভ হয়েছে ১০ হাজার, এখন তিনি ফরিদপুরে

ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশে যোগ দিতে আশপাশের জেলাগুলো থেকে নেতা-কর্মীরা এরই মধ্যে আসতে শুরু করেছেন। শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউটের মাঠে সমাবেশস্থলে এসেছেন আরও কিছু মানুষ। তারা সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীদের কাছে বিএনপির লোগোসম্বলিত কোট পিন, মাথায় বাঁধার ফিতা ও জাতীয় পতাকা বিক্রি করেন। সমাবেশস্থলের পাশেই তারা পসরা সাজিয়ে বসেছেন।
ফরিদপুরে আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউটের মাঠে বিএনপির সমাবেশস্থলে পসরা সাজিয়ে বসেছেন শরীয়তপুরের মামুন খান। ছবি: স্টার

ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশে যোগ দিতে আশপাশের জেলাগুলো থেকে নেতা-কর্মীরা এরই মধ্যে আসতে শুরু করেছেন। শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউটের মাঠে সমাবেশস্থলে এসেছেন আরও কিছু মানুষ। সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীদের কাছে বিএনপির লোগোসম্বলিত কোট পিন, মাথায় বাঁধার ফিতা ও জাতীয় পতাকা বিক্রি করেন তারা। সমাবেশস্থলের পাশেই তারা পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

আসামী শনিবারের সমাবেশকে লক্ষ্য করে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছেন এসব ব্যবসায়ী। এদের মধ্যে মামুন খানের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার আনাখন্ড গ্রামে। দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি এবং তার ছোট ভাই গতকাল রাতে সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ২ ঘণ্টায় বিক্রি হয়েছে আড়াই শ টাকার মতো।

তিনি জানান, তার মতো আরও ৪০-৫০ জন এই ব্যবসায় আছেন। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসি এলাকা থেকে থেকে তারা পণ্য সংগ্রহ করেন। দেশের যেখানেই রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ থাকে সেখানেই তারা অস্থায়ী দোকান নিয়ে যান।

গত ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির সমাবেশে মোট ৩২ হাজার টাকা পণ্য বিক্রি হয়েছে মামুন খানের। ব্যবসায় সহযোগিতা করার জন্য ছোট ভাইকেও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ওই সমাবেশে খরচ বাদ দিয়ে তার ১০ হাজার টাকা মুনাফা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের রূপসা এলাকা থেকে এসেছেন মো. আকাশ (৩২)। তিনি জানান, বিএনপির সবগুলো গণসমাবেশে তিনি ঘুরেছেন। বিক্রিও হয়েছে আশানুরূপ। তিনি প্রতিটি সমাবেশে বিক্রি করেছেন ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলি জানান, ফরিদপুরের এই গণসমাবেশে এক লাখ লোক জমায়েত হবে বলে ধারণা করছি। সেই লক্ষ্য মাথায় রেখেই চলছে প্রস্তুতি।

Comments