স্লোগানে মুখরিত ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশস্থল

ইতোমধ্যে নেতা-কর্মীতে মাঠ প্রায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। ছবি: স্টার

বিএনপির ফরিদপুরের গণসমাবেশ আজ শনিবার দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। এর আগে গতকাল থেকেই শহরের কোমরপুরের আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠে অবস্থান করছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতা-কর্মীরা।

আজ সকাল ৮টায় সমাবেশস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন জেলা থেকে ৩ দিন আগে থেকেই যেসব নেতা-কর্মী সমাবেশস্থলে বা এর আশেপাশে অবস্থান নিয়েছিলেন, তারা মাঠে এসে মঞ্চের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছেন। তাদের গায়ে রয়েছে নেতাদের ছবিযুক্ত গেঞ্জি আর মাথায় টুপি। মঞ্চের সব প্রস্তুতিও ইতোমধ্যে শেষ। সমাবেশস্থলসহ এর আশেপাশে অবস্থান নেওয়া নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিয়ে মুখরিত করে তুলেছেন। তাদের গায়ে বিভিন্ন রংয়ের পোশাক।

গণসমাবেশ মঞ্চ। ছবি: স্টার

মাঠে কথা হয় রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার থেকে আসা মো. ইমরুল হাসানের সঙ্গে। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তারা রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন-আর-রশিদের সঙ্গে এসেছেন। ওই বিএনপি নেতা তাদের হলুদ রঙ্গের গেঞ্জি আর কমলা রঙের একটি করে টুপি দিয়েছেন।

'পরে মাঠে জায়গা পাব না, তাই সকাল ৭টার সময় থেকে মঞ্চের কাছে এসে দাঁড়িয়েছি', বলেন তিনি।

কথা হয় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা থেকে আসা সাঈদ হাসান সিহাবের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'আমরা ৫০ জনের একটি দল গত ২ দিন ধরে মাঠে অবস্থান করছি। আজ সমাবেশ শুরু হবে, তাই আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠে মঞ্চের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছি।'

ইতোমধ্যে নেতা-কর্মীতে মাঠ প্রায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। ছবি: স্টার

ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের সমাবেশকে ঘিরে সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পূর্ণ করা হয়েছে। আর মাত্র ২ ঘণ্টার অপেক্ষা। এর মধ্যে আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হবে।'

ফরিদপুর সদক সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সমাবেশস্থল ও এর আশেপাশে পুলিশের ৮০০ সদস্য আছেন। শহরে যাতে কোনো ধরনের হামলার ঘটনা না ঘটে, সেজন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। গতকাল যেমন চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চলছিল, আজও তা চলবে।'

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

15h ago