বিএনপির ১৭ নেতা-কর্মীর নামে মামলা, গ্রেপ্তার ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৭ জন বিএনপি নেতা-কর্মীর নামে মামলা করেছে পুলিশ। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার দিনগত রাতে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফজাল হোসেন বাদি হয়ে মামলাটি করেন।
নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সিরাজুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ঘটনার সময় আটককৃত উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চরশিবপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামকে মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার বিকেলে পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্রদল কর্মী সাইফুল ইসলাম নয়নের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা আছে। ময়নাতদন্ত শেষে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী ফরিদ। জানাজা শেষে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আনা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফোজায়েল চৌধুরী জানান, নয়ন হত্যার প্রতিবাদে আজ রোববার জেলার সবকটি উপজেলা, কলেজ ও পৌর ছাত্রদল শাখার পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করা হয়েছে।
ফোজায়েল চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগামী ২৬ নভেম্বর বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে দলীয় নেতা-কর্মীরা লিফলেট বিতরণ এবং মিছিল বের করেছিল। এসময় পুলিশ বিনা উস্কানিতে অতর্কিত হামলা করে নেতা-কর্মীদের হতাহত করেছে। যে পুলিশ সদস্য নয়নকে হত্যা করেছে, তার নাম সংগ্রহ করে আদালতের মাধ্যমে মামলা দায়ের করা হবে।'
শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা সদরের মোল্লাবাড়ি মসজিদের সামনে থেকে পুলিশ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহের সাবেক ভিপি সায়েদুজ্জামান কামালকে আটক করার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে। এরই মধ্যে পুলিশ গুলি ছুঁড়লে ছাত্রদল কর্মী নয়নের পেটে গুলিবিদ্ধ হয়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
Comments