১০ ডিসেম্বর বিশৃঙ্খলা করলে জনগণ আত্মসমর্পণ করাবে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ। ছবি: সংগৃহীত

জনগণই বিএনপিকে উচিত শিক্ষা দেবে, প্রতিহত করবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি আরও বলেন, সরকারের এমন কোনো পরিকল্পনা নেই। আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। বিজয়ের মাসে যারা পাকিস্তানে ভালো ছিল বলে, মির্জা ফখরুল এখন তাদের মূল নেতা। উনার বাবা অবশ্য মুসলিম লীগ করতেন। পাকিস্তানপন্থি ছিলেন এবং স্বাধীনতার পর বহুদিন পালিয়ে ছিলেন। মির্জা ফখরুল সাহেবও কয়েক মাস পালিয়ে ছিলেন। আদ্যপান্ত আজ বলছি না, প্রয়োজনে বলবো। উনার বাবা পাকিস্তানপন্থি ছিলেন আবার সামরিক শাসক এরশাদ সাহেবের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মন্ত্রীও হয়েছিলেন। উনি উনার বাবার বাড়িতে বসে বলেছেন, পাকিস্তানই ভালো ছিল।

পাকিস্তানই ভালো ছিল—যারা বলে, তারা ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় এলে জনগণ তাদের আত্মসমর্পণ করাবে। কারণ ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। পাকিস্তানিপন্থি বিএনপির লোকজন যদি আসেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেন জনগণ তাদের পাকিস্তানিদের মতো আত্মসমর্পণ করাবে, বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ আগের খেলায় মেতে উঠেছে, নেতা-কর্মীদের নামে গায়েবি মামলা দিচ্ছে এবং তারেক জিয়াকে দেশে এনে দ্বিতীয়বারের মতো দেশ স্বাধীন ঘোষণা করা হবে—বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, তারেক রহমানের কথা বললে মানুষ আৎকে ওঠে। এ দেশের মানুষের কাছে তারেক রহমান দুর্নীতি-সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের প্রতীক। দেশকে পরপর ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করার প্রতীক। হাওয়া ভবনের লুটপাটের প্রতীক এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তারেক রহমানের নেতৃত্বে উনারা দেশে আন্দোলন করবেন অর্থাৎ আবার জ্বালাও-পোড়াও শুরু করবেন, জনগণ এটা হতে দেবে না। তারা যতই তারেক রহমানের কথা বলেন, ততই জনগণ থেকে দূরে সরে যান।

তিনি আরও বলেন, সরকার কোনো গায়েবি মামলা দিচ্ছে না। বরং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব গায়েবি কথা-বার্তা বলছেন। কারণ সরকার কোনো মামলা করছে না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা আগে থেকেই ছিল। সেই মামলায় যারা জামিনে আছে তাদের কোনো কিছু করা হচ্ছে না, যাদের জামিন বাতিল হয়েছে তাদের পুলিশ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ধরবে।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Police: Equipped to inflict heavy casualties

Police arms records show the brutal truth behind the July killings; the force bought 7 times more lethal weapons than non-lethal ones in 2021-23

16h ago