প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ ঘিরে উৎসবমুখর যশোর

জনসমাবেশ উপলক্ষে নানা রংয়ে সেজেছে যশোর নগরী। ছবি: মহসিন মিলন/ স্টার

দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার যশোরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনাকালীন অচলাবস্থার পর ঢাকার বাইরে প্রথমবারের মতো সরাসরি জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।

সভাস্থলে প্রবেশের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২টি রুট। সমাবেশে যারা যোগ দেবেন তাদেরকে নির্দিষ্ট ড্রপিং পয়েন্ট থেকে নির্দিষ্ট রুট দিয়েই আসতে হবে।

স্টেডিয়ামের নির্দিষ্ট ৩টি গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশাল গণ জমায়েতের জন্য বাস প্রাইভেট মাইক্রো মিলিয়ে ৫ হাজারের ওপরে যানবাহন যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ জন্য আরও ১০টি পার্কিং পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। মন্ত্রী এমপি ভিআইপিদের জন্য নির্ধারিত পার্কিং পয়েন্ট প্রস্তুত আছে। সকাল ১০টা থেকেই মাঠে প্রবেশ করা যাবে। রাস্তায় শৃঙ্খলা, শান্তিপূর্ণ ও পরিছন্ন পার্কিং কার্যক্রম তদারকি করবে ট্রাফিক বিভাগ।

আজ শহরে কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। শহরের ঢুকতে হেটেই যেতে হবে। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য প্রাথমিকভাবে ১০টি পার্কিং এলাকা নির্ধারণ করা হলেও পরে আরও ১০ পার্কিং পয়েন্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, আজ যশোর, ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম এবং ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে সশরীরে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে উৎসবের শহরে পরিণত হয়েছে যশোর। শহরের অলিগলি থেকে গ্রামের রাস্তাঘাটে চলছে মাইকিং।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম মিলন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ যশোরে আসছেন, এটিই অনেক বড় পাওয়া। তাকে বরণ করতে এবং তার মুখে আগামীর বার্তা শুনতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন যশোরবাসী।

যশোর স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার আজকের জনসভাকে জনসমুদ্রে রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন নেতৃবৃন্দ। সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চালিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

শহীদুল ইসলাম মিলন বলেন, 'গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মহাসমাবেশ হচ্ছে যশোরে। এটি জনসমুদ্রে পরিণত হবে। মূল স্পট যশোর স্টেডিয়াম হলেও গোটা যশোর হবে লোকে লোকারণ্য। সাধারণ মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে এই সমাবেশে যোগ দিতে পারেন তার সব বন্দোবস্ত করা হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Multiple blasts heard in Tehran, black smoke visible in east: AFP

Israel army says struck Iran centrifuge production, weapons manufacturing sites

19h ago