কুমিল্লায় বিএনপির সমাবেশে নির্বিঘ্নে আসছেন নেতা-কর্মীরা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কুমিল্লা বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে আজ শনিবার সকাল থেকেই নেতা-কর্মীদের ভিড় বাড়ছে। সমাবেশস্থল কুমিল্লা টাউন হল ইতোমধ্যে লোকে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।
উৎসবমুখর পরিবেশে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ছবি: খালিদ বিন নজরুল/ স্টার

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কুমিল্লা বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে আজ শনিবার সকাল থেকেই নেতা-কর্মীদের ভিড় বাড়ছে। সমাবেশস্থল কুমিল্লা টাউন হল ইতোমধ্যে লোকে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।

সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতা-কর্মীরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আসার সময় পথে তাদেরকে কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। তারা উৎসবমুখর পরিবেশে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে পারছেন।

সকাল ১১টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ১০টার আগেই টাউন হল প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকা পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।

সমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব বিএনপি নেতা জসীম উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সবকিছু ভালোভাবেই হচ্ছে। নেতা-কর্মীরা নির্বিঘ্নেই আসতে পারছেন। সমাবেশ জনসমুদ্র হবে বলে আশা করছি।

সমাবেশের মঞ্চে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য আলাদা করে চেয়ার রাখা হয়েছে।

সমাবেশের আশেপাশে এবং উঁচু ভবনগুলোতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত আছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশও রিজার্ভ রাখা আছে। শান্তিপূর্ণ ভাবেই সমাবেশ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।'

বিএনপরি কেন্দ্রীয় নেতাদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টিও জোরদার করা হয়েছে, তিনি যোগ করেন।

সমাবেশ শুরু

সকাল ১১টায় কুরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়েছে। এসময় স্থানীয় নেতাদের মঞ্চে দেখা গেছে।

কুমিল্লায় ১০ শর্তে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন।

প্রশাসনের শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে—বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে কর্মসূচি শেষ করতে হবে; মাইকের ব্যবহার সীমিত রাখতে হবে; মিছিল-মোটরসাইকেল শো ডাউন করা যাবে না; দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ, রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন বক্তব্য রাখা যাবে না; ব্যানার-ফ্যাস্টুন সীমিত করতে হবে; পতাকা স্ট্যান্ড হিসেবে কোনো লাঠি ব্যবহার করা যাবে না; যানবাহন শহরের ভেতরে আনা যাবে না; রাস্তা বন্ধ করা যাবে না; আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এমন কিছু করা যাবে না; নেতা-কর্মীরা যেন কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেই দায়িত্ব আয়োজকদের নিতে হবে এবং স্টেজ তৈরির সঙ্গে যারা জড়িত তারা ছাড়া অন্য কেউ সমাবেশ শুরুর আগে সমাবেশস্থলে প্রবেশ কিংবা অবস্থান করতে পারবেন না।

 

Comments