১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ: সংঘাতময় রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ

বিএনপির সমাবেশ : সংঘাতময় রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ

আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। কিন্তু সরকার বলেছে নয়াপল্টনে নয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করতে হবে সমাবেশ।

সমাবেশস্থল নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়ের মধ্যে এক ধরনের বিরোধ চলছে।

এ প্রসঙ্গে দ্য ডেইলি স্টার কথা বলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আল মাসুদ হাসানুজ্জামানের সঙ্গে।

দ্য ডেইলি স্টার: আপনি ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেটাকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

ড. আল মাসুদ হাসানুজ্জামান: দুই দলের নিজস্ব যুক্তি আছে। এটা সত্য যে, দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে দীর্ঘদিন ধরেই অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। দেশকে সংঘাতময় রাজনীতির পথে ঠেলে দুই দল কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাবে না বলেই মনে হচ্ছে। এখন যা দেখছি তা হলো, দেশ একটা সংঘাতময় রাজনীতির মুখোমুখি। বিষয়গুলো সামনের দিনগুলোতে আরও পরিষ্কার হবে।

ডেইলি স্টার: কেন দুই পক্ষ বিবাদ করছে?

ড. হাসানুজ্জামান: ১৯৯১ সালে দেশে যখন সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরে এলো, তখন সবার আশা ছিল যে রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্রের চর্চা করবে এবং একে শক্তিশালী করবে।

কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দুটি বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সবসময় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ছাড়া আর কিছুই চায় না। ধীরে ধীরে এটাই আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির মূল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ কারণে প্রধান দুটি দলের মধ্যে আস্থাহীনতা বাড়তে থাকে, যা শেষ পর্যন্ত সংঘাতময় রাজনীতির দিকে নিয়ে গেছে।

ডেইলি স্টার: আপনি কি অদূর ভবিষ্যতে এ দুই দলের মধ্যে ঐকমত্যের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন?

ড. হাসানুজ্জামান: দুই দলের মধ্যে কোনো বোঝাপড়া নেই। রাজনীতিতে সবকিছু লিখিত থাকে না। দলের রাজনীতির মধ্যে কিছু অলিখিত নিয়মও থাকার কথা। তারা কেমন রাজনীতি করবে? তারা কীভাবে কাজ করবে?

দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো আমাদের রাজনীতিতে এমন অলিখিত কিছু নেই। যে কারণে দলগুলোর পক্ষে কোনো ঐক্যমত্যে পৌঁছানো কঠিন।

Comments

The Daily Star  | English

UK govt unveils 'tighter' immigration plans

People will have to live in the UK for 10 years before qualifying for settlement and citizenship

1h ago