‘গুজব রটিয়ে চোরকে চুরি করার সুযোগ করে দিচ্ছে বিএনপি’

চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

গুজব রটিয়ে বিএনপি নেতারা চোরকে চুরি করার সুযোগ করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রোববার চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ডে চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর-দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে এখনো মজবুত। সারা বিশ্বব্যাপী এখন খাদ্য-বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি তেলের অভাব। আমরা তারপরও চেষ্টা করে যাচ্ছি আমাদের দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে।'

তিনি বলেন, 'কিছুদিন বিদ্যুতের জন্য কষ্ট হয়েছে। আল্লাহর রহমতে ভবিষ্যতে আর সে কষ্ট হবে না। কিন্তু আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ আপনাদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।'

'এই শীতে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোও জ্বালানি সংকটে পড়েছে' উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা মানুষের সব রকমের সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব। কিন্তু তা আপনাদের সহযোগিতার মাধ্যমে। বিদ্যুৎ-পানি-জ্বালানি তেল ব্যবহারে আপনাদের সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে।'

'দেশে এখনো ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রিজার্ভ আছে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'একটা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তারা (বিএনপি) সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। তারা বলছে, ব্যাংকে টাকা নেই। অথচ এ কয়েকদিনে যারা ব্যাংকে টাকা তুলতে গেছে সবাই তো টাকা তুলতে পেরেছে। গুজব রটিয়ে চোরকে চুরি করার সুযোগ করে দিচ্ছে বিএনপি নেতারা।'

তিনি বলেন, 'আমরা যখন দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসি তখন রিজার্ভ ছিল মাত্র ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমরা সেটাকে ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাড়িয়েছিলাম। করোনাকালে পৃথিবীর বহু উন্নত দেশ, ধনী দেশ বিনা পয়সায় কাউকে কোনো ভ্যাকসিন দেয়নি। কিন্তু বাংলাদেশ দিয়েছে। আমি দিয়েছি নগদ টাকা দিয়ে কিনে।'

শেখ হাসিনা আরও বলেন, 'আমরা রিজার্ভের টাকা খরচ করেছি মানুষের জন্য খাদ্য কেনায়, বিনা পয়সায় খাদ্য দিয়েছি। বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি ব্যবসায়ীদের। তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য যেন চলতে পারে। শ্রমিকদের বেতন তাদের হাতে পৌঁছে দিয়েছি। কৃষকদেরকে আমরা টাকা দিয়েছি, যেন তারা চাষবাস করতে পারে। আমরা ওষুধ কিনেছি। ভ্যাকসিন কিনেছি। সিরিঞ্জ আনতে হয়েছে। স্পেশাল প্লেন পাঠিয়ে দিয়ে আমরা সব নিয়ে এসেছি। কেন? আমার দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে।'

'এখনো আমরা করোনার টেস্টিং, ভ্যাকসিন বিনে পয়সায় করি। কই? আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ইউরোপ থেকে শুরু করে কেউ দেয়নি। একমাত্র বাংলাদেশ, বিনে পয়সায় আমরা দিচ্ছি। কাদের জন্য? জনগণের জন্য। কারণ আমরা জনগণের জন্য কাজ করি। জনগণের কথা ভাবি,' বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, 'আমরা দেশের প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি। চর বা দ্বীপ অঞ্চল কোথাও বাদ যায়নি। বাংলাদেশে খাদ্যের কোনো অভাব নেই। আমাদের খাদ্য উৎপাদন কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা মাছ, মাংস, ফলমূল সবকিছুর উৎপাদন বাড়িয়েছি।' 

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

2h ago