নোয়াখালী জেলা আ. লীগের সভাপতি খায়রুল, সাধারণ সম্পাদক...?

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: স্টার

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নোয়াখালী জেলা সম্মেলন নতুন সভাপতি হিসেবে সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমের নাম ঘোষণা করা হলেও সাধারণ সম্পাদক পদে কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি।

গতকাল সোমবার নোয়াখালী শহরের শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদ উল্যাহ খান সোহেলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর ও ফরিদুন নাহার লাইলি। 

দুপুর ২টার দিকে প্রধান অতিথি হিসেবে ওবায়দুল কাদের তার বক্তৃতা শেষে জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন এবং সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমকে নতুন সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে কারও নাম ঘোষণা করেননি। 

এরপর ২টা ৫ মিনিটে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন দ্বিতীয় অধিবেশনের ঘোষণা দেন। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীর নাম প্রস্তাব ও সমর্থনের আহ্বান জানান। 

এ সময় নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোর্শেদ আলম সাধারণ সম্পাদক পদে নোয়াখালী পৌর সভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের ২ নম্বর যুগ্ম আহবায়ক শহীদ উল্যাহ খান সোহেলের নাম প্রস্তাব করেন। 

এর পরই নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মামুনুর রশিদ কিরণ ওই প্রস্তাব সমর্থন করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীর নাম প্রস্তাব ও সমর্থন কারীদেরকে তাদের পছন্দের প্রার্থীর নাম লিখে তার কাছে জমা দিতে নির্দেশ দিয়ে বেলা আড়াইটার দিকে দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। 

এ সময় সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শহীদ উল্যাহ খান সোহেল ও অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীনের অনুসারীরা স্লোগান দিতে থাকেন।
 
৩ বছর পর নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা না করায় নেতা-কর্মীদের মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রীয়া দেখা যায়। 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে ২ শক্তিশালী প্রার্থী হয়েছেন। কাউন্সিলিং ছাড়া সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হলে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ও সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকায় দলের সিনিয়র নেতারা কৌশল অবলম্বন করেন।
 
এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি তার বক্তব্যে জানান, তিনি কোনো সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী নন। তবে সভাপতি পদে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমের নাম প্রস্তাব করেন। একই সঙ্গে তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে পৌর মেয়র শহীদ উল্যাহ খান সোহেলের নাম প্রস্তাব করে বলেন, 'সংগঠন চালাতে কী যে জ্বালা তা যে সংগঠন চালায় সে ছাড়া অন্য কেউ জানে না।'

নাম প্রকাশ না করা শর্তে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা দ্য ডেইলে স্টারকে বলেন, 'একজন সাধারণ সম্পাদকই দলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যান। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত-আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হয় সাধারণ সম্পাদককে। দলীয় কর্মসূচি বা অনুষ্ঠানগুলোতে সার্বিক দায়িত্ব থাকে সাধারণ সম্পাদকের ওপর। কর্মী সমাগম থেকে শুরু করে সব কিছুই তাকে দেখতে হয়। ফলে এই গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ সম্পাদক পদে সাংগঠনিক সুন্দর আচরণ ও আর্থিকভাবে স্বচ্ছল কোনো নেতাকে দেওয়া উচিত।'
 

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago