বিএনপির ৭ জন পদত্যাগ করলে সংসদ অচল হবে না: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করলে সংসদ অচল হবে না।
ওবায়দুল কাদের
মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করলে সংসদ অচল হবে না।

তিনি বলেন, 'তাদের যারা বুদ্ধি দিয়েছেন, তারা অচিরেই পস্তাবেন। পদত্যাগ করে লাভ হলো কী? সরকারের পতন হলো? মানুষের যখন পতন আসে, তখন ইচ্ছার বিরুদ্ধেও ভুল করে।'

আজ রোববার বিকেলে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এসব বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আছেন। তারপর, ওয়ার্কার্স পার্টি আছে। এখানে আছে সমাজতান্ত্রিক দল, বিকল্প ধারা, তরিকত ফেডারেশন, জাতীয় পার্টি, গণফোরাম। তারা তো বয়কট করছে না। তাহলে বিএনপির ৭ জন সংসদে সিন্ধুর মধ্যে বিন্দু।'

তিনি আরও বলেন, 'বিএনপি দলের ভেতরেই গণতন্ত্র নেই। তারা দেশের গণতন্ত্র কীভাবে করবেন। বিএনপির সাহেব মার্কা কমিটির কয়টি মিটিং হয়েছে? আওয়ামী লীগের ২ মাসে একবার, সম্পাদকমণ্ডলীর মিটিং প্রতিমাসে একবার। আওয়ামী লীগ বিএনপি নয়। বিদেশি বন্ধুদের বলি- তারা কেন জিজ্ঞেস করেন না, তোমরা দেশের গণতন্ত্র কীভাবে করবে।'

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'দেশে লোডশেডিং নেই, বিদ্যুৎ আছে। আমাদের দেশে ৫ মাসের আমদানি রিজার্ভ আছে। জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল, গম, ডাল ভুট্টাসহ খাদ্যদ্রব্য বেশি দামে কিনে শেখ হাসিনা অল্পদামে সাধারণ মানুষকে দিচ্ছেন। ৩ মাসের আমদানি করতে পারে, সেই পরিমাণ রিজার্ভ রাখতে হয়। বর্তমানে দেশে ৫ মাসের আমদানি রিজার্ভ রয়েছে।'

তিনি বলেন, 'জাতিসংঘ এত বড় বড় কথা বলে। জাতিসংঘ কি ফিলিস্তিনে হত্যা বন্ধ করতে পেরেছে? ইউক্রেন যুদ্ধ কি বন্ধ করতে পেরেছে?'

'বিএনপির আমলে পকেটের উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের কোনো উন্নয়ন হয়নি। শেখ হাসিনার আমলে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। খাদ্য মজুদ আছে। আমাদের কৃষি ভালো আছে। একদিনে ১০০ সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'খেলা হবে। এই ডিসেম্বরেই খেলা হবে। ১০ তারিখও চলে গেল। ২০০৭ সালে মুচলেকা দিয়ে তারেক রহমান লন্ডনে পালিয়ে গেছেন। দেখতে দেখতে ১৫ বছর হয়ে গেল। আসবে কোন বছর? খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে। খেলা হবে ভোট চুরির বিরুদ্ধে, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে। অপশক্তির বিরুদ্ধে খেলা হবে।'

সম্মেলনে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল সালামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

পরে, আগামী ৩ বছরের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কোনো পরিবর্তন আসেনি। সিনিয়র সভাপতি এবং জাতীয় পরিষদ সদস্য করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আব্দুল মজিদ ফটোকে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে গোলাম মহীউদ্দীন সভাপতি এবং আব্দুল সালাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

Comments