‘অহংকারের নতুন পালক জনগণের মুকুটে সংযোজন করলাম’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর উত্তরায় মেট্রোরেল লাইন-৬ ও বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জনতার উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকে আরেকটি নতুন অহংকারের পালক জনগণের মাথার মুকুটে সংযোজন করলাম।

আজ বুধবার দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে উত্তরার ১৫ নং সেক্টরের খেলার মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে সকাল ১১টা ৪ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলের নাম ফলক উন্মোচন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতি সারা বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে। আজকে আরেকটি নতুন অহংকারের পালক জনগণের মাথার মুকুটে সংযোজন করলাম।

এর আগে দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছিলেন। সে জন্য সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তিগত দিক থেকে অন্তত ৪টি মাইল ফলক বাংলাদেশের জনগণকে স্পর্শ করল—মেট্রোরেল নিজেই একটি মাইল ফলক; এই প্রথম বাংলাদেশ বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে প্রবেশ করল; মেট্রোরেল দূর নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতি পরিচালিত হবে এবং বাংলাদেশ দ্রুত গতিসম্পন্ন ট্রেনের যুগে পদার্পণ করল। আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম, ঢাকা যানজটমুক্ত করার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নেব এবং পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবো। আমরা ৬টি মেট্রোরেল লাইন সমন্বয়ে কর্ম পরিকল্পনা নিয়েছি, যা ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আমি আশা করি।

এ সময় আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন তিনি।

আমি মনে করি, মেট্রোরেল সম্পূর্ণ চালু হলে আমাদের দেশের মানুষের কর্মক্ষমতা বাড়বে। যোগ্যতা, কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে আর আমাদের জিডিপিতে যথেষ্ট অবদান রাখবে, বলেন শেখ হাসিনা।

দেশবাসীকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, মনে রাখতে হবে অনেক টাকা খরচ করে এই মেট্রোরেল করা হয়েছে। এটাকে সংরক্ষণ করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, সব কিছু যারা ব্যবহার করবেন তাদের দায়িত্ব। এখানে অনেক আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে, ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছে, কাজেই সেসব জিনিস যেন কোনো মতে নষ্ট না হয়। সকলে যত্নবান হবেন, খেয়াল রাখবেন কেউ যাতে আমাদের এই স্টেশনগুলোতে আবর্জনা-ময়লা ফেলতে না পারে। 

যে কোনো একটা কাজ করতে গেলে অবশ্যই সাহসের প্রয়োজন হয়। সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হয়। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে প্রতিটি কাজের জন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে আমরা দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করার জন্য আমাদের আশু করণীয় কী, পাশাপাশি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করে যাচ্ছি। যে কারণে মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, বলেন শেখ হাসিনা।

Comments

The Daily Star  | English
International Crimes Tribunal 2 formed

Govt issues gazette notification allowing ICT to try political parties

The new provisions, published in the Bangladesh Gazette, introduce key definitions and enforcement measures that could reshape judicial proceedings under the tribunals

4h ago