সংবিধান থেকে এক চুলও নড়বে না আ. লীগ: ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ভুলে যাওয়ার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সংবিধান থেকে আওয়ামী লীগ এক চুলও নড়বে না। বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার কথা ভুলে যেতে হবে। ওই সরকার আর আসবে না।

ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত 'শান্তি সমাবেশে' এ কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও  নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নয়, সারা বছরই রাজপথে থাকবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ভয় পায় না। আমরা ভয় পাই, তাদের অগ্নি সন্ত্রাস কর্মকান্ডকে। তাই জনগণকে রক্ষায় রাজপথ আমরা পাহারা দেব।

তিনি বলেন, রাজপথে কাউকে নামতে দেব না, এটা তো আমরা বলি না। কারণ রাস্তা সবার। আমরা জনগণের স্বার্থে রাজপথে পাহারাদার হিসেবে আছি। জনগণকে রক্ষার জন্য আমরা রাজপথ পাহারা দেব। তারা (বিএনপি) সাম্প্রদায়িক শক্তির বন্ধু। তাদের ক্ষমতায় বসার অধিকার নেই। তারা আগের মতো অগ্নি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পরিকল্পনা করছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অশুভ শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে পদযাত্রা বা পথযাত্রা যা-ই করা হোক, কোনো লাভ হবে না। পথ হারিয়ে পথিক এখন দিশেহারা। বিএনপির পদযাত্রায় নেতা বাড়ছে, কিন্তু কর্মী কমে যাচ্ছে। একটা কথা বলতে চাই, নির্বাচন সামনে- বাংলাদেশ আর অন্ধকারে যাবে না।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, যদি ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চান, তবে নির্বাচনে অংশ নিন। আর কখনও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জনগণের ভোটচুরি করতে দেয়া হবে না।

তিনি বলেন, বিদেশিদের কাছে ধর্না দিয়ে লাভ হবে না। এর আগেও আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচন বন্ধ করতে পারেনি তারা। এবারও পারবে না। আর কোনোভাবেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার এদেশে ফিরে আসবে না।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, যে বাংলাদেশ একসময় ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল, সেই দেশকে উন্নয়ন আর অগ্রগতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আওয়ামী লীগের শাসনামলে। তিনি বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে রাস্তায় নেমে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে। শুধু এখনই নয়, সব সময় তারা দেশের মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করে ক্ষমতায় গেলে। ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড ছাড়া তারা আর কিছু করতে জানে না। তাই জনগণ কোনো পাগল এবং শিশুর হাতে দেশের দায়িত্ব দিতে পারে না।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রুহুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Comments

The Daily Star  | English
enforced disappearance in Bangladesh

Enforced disappearance: Anti-terror law abused most to frame victims

The fallen Sheikh Hasina government abused the Anti-Terrorism Act, 2009 the most to prosecute victims of enforced disappearance, found the commission investigating enforced disappearances.

7h ago