পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ

পুলিশের মামলায় বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী কারাগারে

পঞ্চগড়ে বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা পৃথক ৫ মামলায় বিএনপি ও দলটির সহযোগী সংগঠনের ১৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

পঞ্চগড়ে বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা পৃথক ৫ মামলায় বিএনপি ও দলটির সহযোগী সংগঠনের ১৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৫ মামলার ৫৮ আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ শরীফ হোসেন হায়দার। এ সময় অন্য ৪৩ জন আসামির জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোজাফফর হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানান।

মামলা সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে পঞ্চগড় জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে একপর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিপেটাসহ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় ১০-১২ জন পুলিশ সদস্যসহ প্রায় অর্ধশত মানুষ আহত হন। এ ঘটনায় মিছিলে আসা আবদুর রশিদ আরেফিন (৫০) নামে বিএনপির এক নেতার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ ও ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।

পরদিন ২৫ ডিসেম্বর সরকারি কাজে বাধাদান, পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর, মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ও বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ এনে পঞ্চগড় থানা পুলিশের ৫ উপপরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলামসহ মোট ৮১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে পৃথক ৫টি মামলা দায়ের করেন।

পরে গত ৩ জানুয়ারি ৫টি মামলার ৫৮ জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন পেয়েছিলেন। উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা পঞ্চগড় জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন।

জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো বিএনপি নেতাকর্মীরা হলেন- জেলা ছাত্রদলের নাট্যবিষয়ক সম্পাদক জুয়েল রানা (২৭), সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব এ আর পলাশ (২৭), ছাত্রদল কর্মী শাওন (২৫), সুহেল (২৮), সাবেক ছাত্রদল নেতা ও বিএনপি কর্মী শরিফুল ইসলাম ওরফে পারভেজ (৩৯), বিএনপি কর্মী জাকির হোসেন (৩৩), মোজাহার আলী (৩৪), নুর জামাল (৩৫), হিটলার (৩৪), মিলন (৩২), সোহেল রানা (৩৩), দুলাল হোসেন (৩০), সাবিরুল ইসলাম (৩৮) এবং জাগপা নেতা এ.টি.এস. তৌফিক ওরফে মুসা (৩৫) এবং কুয়েত (৩৮)।

Comments

The Daily Star  | English
quota reform movement,

Govt publishes preliminary list of those killed in July-August protests

The interim government today published a preliminary list of 726 people who died during the student-led mass protests in July and August.

45m ago