বাউফলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাঙচুর, প্রতিবাদে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা

পৌরসভার মুজিব চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিটিকে ভাঙা অবস্থায় দেখতে পেয়ে রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায় যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্মীরা।
হামলা-ভাঙচুরের পর বাউফল উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর বাউফলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। 

পৌরসভার মুজিব চত্বরের প্রতিকৃতিটিকে ভাঙা অবস্থায় দেখতে পেয়ে রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করেছে যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মীরা।

স্থানীয়রা জানায়, রোববার সন্ধ্যার দিকে মুজিব চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাঙা অবস্থায় দেখতে পেয়ে বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হককে বিষয়টি জানায় পথচারীরা। পরে বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা যুবলীগের ব্যানারে একটি র‍্যালি থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সড়কে উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। কার্যালয়ের জানালার গ্লাস, চেয়ার ও অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।

বাউফল পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বাউফল পৌরসভার মেয়র ও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হকের উদ্যোগে বাউফল আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়কের পাশে মুজিব চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাঙচুরের বিষয়ে বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে অনুরোধ জানিয়েছি।'

তবে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন মেয়র জিয়াউল।

এদিকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. তসলিম তালুকদার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যুবলীগের ব্যানারে শান্তি র‌্যালির নামে কোনো কারণ ছাড়াই বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এটা অপরাজনীতি ছাড়া কিছুই না।'

বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

জেলার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (বাউফল সার্কেল) শাহেদ আহম্মেদ চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন,' সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাঙচুরের ঘটনায় নিয়মিত মামলা হবে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।'

তবে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে উল্লেখ করেন। 

Comments