নরসিংদীতে বিএনপি কার্যালয়ে আবারও ছাত্রদলের পদবঞ্চিতদের হামলা

নরসিংদীর চিনিশপুরে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকনের বাসভবন ও জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে ছাত্রদলের পদবঞ্চিতদের হামলা। ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর চিনিশপুরে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকনের বাসভবন ও জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

আজ বুধবার দুপুরে সভা চলাকালে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা ওই কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৬ জানুয়ারি নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের ৫ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি।

বিএনপি সূত্র জানায়, এই কমিটিতে পদবঞ্চিত নেতা ও তাদের অনুসারী এবং দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরা অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে কার্যালয়ে হামলা চালায়।  

হামলার সময় খায়রুল কবীর খোকনের উপস্থিতিতে সভা চলছিল। কার্যালয়ের গেটের সামনে রাখা এক টিভির সাংবাদিকের মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, ছাত্রদলের পদবঞ্চিতরা দলের অস্থায়ী কার্যালয়ের পকেট গেট তালাবদ্ধ করে চলে যায়। 

পরে জেলা বিএনপি নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের গেট খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং একটি সভা শুরু করেন। এরপরই ছাত্রদলের পদবঞ্চিত ও বহিষ্কৃত নেতাকর্মীদের একটি দল সেখানে হামলা চালিয়ে ৫-৭টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করে। 

খবর পেয়ে সদর মডেল থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

ওসি আবুল কাশেম ভূইয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খবর পেয়ে বিএনপি কার্যালয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।'

তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণার রাতে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয় ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনার পরদিন বিএনপির জেলা আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকনের বাস ভবন ও জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের কেয়ারটেকার কাজল মিয়া বাদী হয়ে ছাত্রদলের বহিষ্কৃত ৩ নেতাসহ মোট ১১ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

সেদিনই বহিষ্কৃত নেতা ফাহিম রাজ অভি বাদী হয়ে খোকনসহ ৯ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেতাদের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগে নরসিংদী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

পরে ৩০ জানুয়ারি পদবঞ্চিত নেতারা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে খায়রুল কবির খোকনের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

হামলার বিষয়ে খায়রুল কবির খোকন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হামলাকারীরা সন্ত্রাসী। তারা সরকার ও প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এই হামলা চালিয়েছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় বারবার সন্ত্রাসীদের এসব হামলায় প্রমাণ হয় প্রশাসন তাদের আশ্রয় দিচ্ছে।'

হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদলের বহিষ্কৃত নেতা ফাহিম রাজ অভি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খায়রুল কবির খোকন ও তার স্ত্রী নরসিংদীতে বিএনপি, ছাত্রদল ও অঙ্গসংগঠনকে বিতর্কিত ও অযোগ্য কমিটি দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই ছাত্রসমাজ তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Dengue cases see sharp rise in early July

Over 1,160 hospitalised in first 3 days, total cases cross 11,000

12h ago