মানিকগঞ্জ

বিএনপির সমাবেশে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ আ. লীগের বিরুদ্ধে

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় বিএনপির সমাবেশে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় বিএনপির সমাবেশে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় বিএনপির সমাবেশে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।

আজ শনিবার বিকেলে উপজেলার গালা ইউনিয়নের ঝিটকা গার্লস স্কুল মোড় ও ঝিটকা গোপীনাথপুর সেতু এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান হরিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হান্নান মৃধা।

তিনি বলেন, 'এতে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের ৩ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া ৩টি মোটরসাইকেল ও জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হকের গাড়ি ভাঙচুর করেন তারা।'

এসময় যুবদল নেতা শহিদুল শিকদার সোহেলের দোকানে হামলা চালানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঝিটকা বাজারে পদযাত্রা করতে না পেরে গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অবস্থান ধর্মঘট ও সমাবেশ করি। সমাবেশে আসার পথে ঝিটকা বাজার গার্লস স্কুল মোড়ে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা হামলা করে। জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হকসহ সিনিয়র নেতারা সমাবেশে যোগ দিতে আসলে প্রবেশপথেই তারা হামলা করে।'

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান, সদস্য সচিব কামরুল হাসান ফিরোজ,  উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  মোস্তাকিন চৌধুরী রিফাত, সহ সভাপতি সোহাগ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শুভ মল্লিক, গোপীনাথপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেল হোসেনসহ ১৫-২০ জন নেতাকর্মী এই হামলা চালিয়েছে।

জানতে চাইলে হরিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাকিন চৌধুরী রিফাত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'আমাদের তৎপরতায় বিএনপি নেতাকর্মীরা নাশকতা করতে পারেনি। নাশকতা ঠেকানো হয়েছে।'

হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার আদিত্য বলেন, 'এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago