জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার
গাজীপুরের বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জাহাঙ্গীরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ সংগঠনের গঠনতন্ত্রের বিধি মোতাবেক এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
গতকাল রোববার আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমের প্রসঙ্গ উঠেছিল। ধানমন্ডিতে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ওই বৈঠকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বহিষ্কারের বিষয়টি উত্থাপন করেন।
সভা সূত্রগুলো জানায়, ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত অধিকাংশ সদস্য এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য দলের সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে এই সুপারিশ পাঠানো হয়।
সভায় বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, 'জাহাঙ্গীর আলম দলীয় ক্ষমার সুযোগ নিয়ে দলের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের থাকার যোগ্যতা তিনি হারিয়েছেন। তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা উচিত।'
২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হলে জাহাঙ্গীরকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। দল থেকে বহিষ্কারের ৭ দিন পর ২৫ নভেম্বর তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ভিডিওতে তাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করতে এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
জাহাঙ্গীরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ জানুয়ারি ক্ষমতাসীন দল তাকে সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দেয়। এরপর তার দুর্নীতি ও অপকর্মের বিষয়গুলো আবারও সামনে আসে।
আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জাহাঙ্গীর। তিনি তার মাকেও প্রার্থী করেন। কিন্তু খেলাপি ঋণের দায়ে জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় নির্বাচন কমিশন। আপিলেও তার মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। আদালত তার আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন। এখন তিনি মা জায়েদা খাতুনকে নিয়ে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
Comments