‘গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে’

প্রধানমন্ত্রী
বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনের পর থেকে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে।

আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আজ সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত অবস্থায় শাহাদাতবরণকারী কর্মকর্তা-সৈনিকের পরিবারের সদস্য ও আহতদের সম্মাননা প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা আর ২ দিন পরেই বাজেট দিতে যাচ্ছি। ২০০৬ সালে এই বাজেট ছিল মাত্র ৬১ হাজার কোটি টাকার। আর এখন আমাদের ৬ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট। আমরা ৭ লক্ষে উত্তরণ ঘটাতে যাচ্ছি। কাজেই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের প্রতিটি বাহিনীর, প্রতিটি মানুষেরও জীবনমান এবং তাদের দায়িত্ব পালনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আমরা সৃষ্টি করে দিচ্ছি।'

তিনি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি, অবকাঠামো উন্নয়ন করে যাচ্ছি, পদ্মা সেতুর মতো সেতু আমরা নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করে সারা বিশ্বকে দেখিয়েছি—জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন, "কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না", আমাদের কেউ দাবায়া রাখতে পারেনি-পারবে না।'

'শুধু বিশ্বে শান্তি রক্ষা না, নিজের দেশেও আজকে ২০০৮ সালে নির্বাচনের পর এই ২০২৩ সাল...একটা শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজমান, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত বলেই আজকে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে, ভাতের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। গণতান্ত্রিক ধারা নিশ্চিত হয়েছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে।...২০২৩ সাল পর্যন্ত আজকে আমাদের অগ্রগতিটা স্থিতিশীল পরিবেশের জন্যই সম্ভব হয়েছে—এ কথাটা সকলকে মনে রাখতে হবে। স্থিতিশীল শান্তিপূর্ণ পরিবেশই পারে একটি দেশকে উন্নয়নের ধারায় গতিশীল করতে এবং উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে,' বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, 'আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে জাতির পিতা যেখানে...আমাদের অন্তত একটা জায়গায় এনেছিলেন। আমরা সেখান আজকে উত্তরণ ঘটিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি, ২০২৬ সাল থেকে আমরা তা বাস্তবায়ন করব। আর ২০৪১ সালের মধ্যে এই বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।'

'আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, সংঘাতে নয়। বাংলাদেশ সব সময় শান্তিতে বিশ্বাস করে। সেই শান্তির জন্য যা যা করণীয় বাংলাদেশ তা করবে,' অঙ্গীকার করেন শেখ হাসিনা।

Comments

The Daily Star  | English

US-China tariff war punishes Bangladesh

Smaller Asian nations, including Bangladesh, have been hit with some of the most punitive duties under the Trump administration’s tariff policy. The official justification for these tariffs was to correct what the administration called unfair trade deficits, where countries export more to the United States than they import.

9h ago