বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ ১৯ জুন

অসহনীয় লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট সমাধানের দাবিতে আগামী ১৯ জুন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

অসহনীয় লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট সমাধানের দাবিতে আগামী ১৯ জুন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।

এ ছাড়াও, গত ৪-৭ জুন পর্যন্ত দিনাজপুর অভিমুখে অনুষ্ঠিত রোডমার্চে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতাসীন দলের হামলার প্রতিবাদে সোমবার ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনের মেহরাব প্লাজায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
 
তিনি বলেন, 'অসহনীয় লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট সমাধানের দাবিতে আগামী ১৯ জুন বেলা ১১টায় আমরা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভ করব। এ ছাড়া, রোডমার্চে হামলা ও বাধার প্রতিবাদে আমরা সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করব।'
 
দিনাজপুর অভিমুখে অনুষ্ঠিত রোডমার্চে হামলা ও বাধা প্রদানের ঘটনাবলী তুলে ধরে সাইফুল হক বলেন, 'ওইসব হামলার ঘটনা প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ সরকার এখন গণ-আতঙ্কে ভুগছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ-মিছিলেও তারা বেসামাল হয়ে পড়েছে।'
 
'এখনো যে তারা দমন করেই গদি টিকিয়ে রাখতে চায় তা পরিষ্কার। এই কাজে প্রশাসনকে তারা দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করতেই যে তৎপর, আমাদের গত ৪ থেকে ৭ জুনের রোডমার্চের ঘটনাবলী তা আরেকবার প্রমাণ করেছে', যোগ করেন তিনি।

সাইফুল হক বলেন, 'সরকার, পুলিশ প্রশাসন ও সরকারি দলের এতসব বাধা, হামলা, আক্রমণ, উস্কানি ও ত্রাস সৃষ্টির পরও রোডমার্চের পথে পথে আমরা মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন, সহযোগিতা ও ভালোবাসা পেয়েছি। প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে সমাবেশগুলোতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন অবসানে তারা তাদের মরিয়া লড়াইয়ের মনোভাবের বার্তা দিয়েছেন।'
 
'জনগণ অনতিবিলম্বে দুর্নীতিবাজ, গণবিরোধী, ভোটের অধিকারহরণকারী, গায়ের জোরে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকা এই সরকারের কবল থেকে মুক্তি চায়। মানুষ কোনোভাবে আর এই সরকারকে নিতে পারছে না। তারা সত্যিকারের একটি পরিবর্তনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে', বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, সাকিব আনোয়ার, শাহনাজ রানু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, কাজী মো. নজরুল, গনসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাচ্চু ভুঁইয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, মাহবুব জামান কাদেরী, জেএসডির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বহ্ণি শিখা জামালী এবং আকবর খান উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

The psychological costs of an uprising

The systemic issues make even the admission of one’s struggles a minefield

11h ago