রাস্তা বন্ধ করলে, বিএনপির চলার রাস্তাও বন্ধ করে দেবো: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির যদি রাস্তা বন্ধ করে, তাহলে তাদের চলার রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হবে।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের ৩ অঙ্গসংগঠন যুবলীগ-ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত 'শান্তি সমাবেশে' প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির ঢাকার প্রবেশমুখে আগামীকাল শনিবার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'তারেক রহমান লন্ডন থেকে ফরমায়েশ দিচ্ছে, আর এদিকে মির্জা ফখরুলরা লাফালাফি করছে। আমীর খসরু বলছে গণভবন নাকি ছেড়ে দিতে হবে। জনগণ শেখ হাসিনাকে গণভবনে বসিয়েছে, যতদিন জনগণ চাইবে ততদিন তোমরা কিছুই করতে পারবে না।'

তিনি বলেন, 'গোলাপবাগের গরুর হাঁটে হোঁচট খেয়েছে ক্ষমতা। আর এক দফা নয়াপল্টনে আটকে গেছে, খাদে পড়ে গেছে। ক্ষমতার সাধ কোনোদিন পূর্ণ করতে পারবে না। তারেক রহমান ভিডিওতে নির্দেশ দেয়। ফখরুলকে বলে আন্দোলনে টাকার অভাব হবে না।'

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'তারেক রহমান এত টাকা পেল কোথায়। আমেরিকার কিছু কংগ্রেসম্যানকে টাকা খাওয়ায়, লবিস্ট দিয়ে জাতিসংঘে, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের কাছে চিঠি লেখে বাংলাদেশে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন করতে হবে। এ দুঃসাহস তারা পেল কোথায়?'

'আর রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। সেই তারেক রহমান এখন মির্জা ফখরুলের নেতা,' যোগ করেন তিনি।

'বিএনপি নেতারা আইন মানে না, সুপ্রিম কোর্ট মানে না' মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'তারেক রহমানের সারাজীবনের দণ্ড হয়েছে। এত দম্ভ ভালো না। টাকার বাহাদুরি থাকবে না। নমিনেশন বাণিজ্য করছে। লন্ডনে যাওয়া-আসা বেড়ে গেছে।'

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'যারা দেশের অর্থলুট করেছে, যারা মাতৃভূমির মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুণ্ঠিত করেছে, যারা জাতির পিতাকে অসম্মান করেছে, যারা ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন করেছে, ভুয়া ভোটার তৈরি করেছে, তাদের হাতে দেশের ক্ষমতা কোনোদিন ছেড়ে দিতে পারি না।'

জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগ 'অতন্দ্র প্রহরীর' মতো অবস্থান করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

আগামীকাল শনিবার বিএনপির ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'এখন নাকি (বিএনপি) ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান নেবে। আপনারা নাকি রাস্তা বন্ধ করবেন। আপনাদের চলার রাস্তাও বন্ধ করে দেবো। রাস্তা বন্ধ করতে আসবেন না। চোখ রাঙাবেন না।'

'দেশি-বিদেশি যারাই চোখ রাঙাচ্ছে, তাদের বলে দিতে চাই আমাদের শেকড় অনেক গভীরে। আমাদের চোখ রাঙিয়ে উৎখাত করা যায় না,' যোগ করেন তিনি।

নেতাকর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'ঢাকায় কিছু নেই। নিজ এলাকায় যান। কাজ করুন। রিপোর্ট ভালো আসলে নমিনেশন দেবেন নেত্রী।'  

বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'যত লাফালাফি করেন ফখরুল সাহেব, এই লাফালাফিতে কাজ হবে না। রাজনীতির খেলা, আন্দোলনে আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারে না। রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ চ্যাম্পিয়ন। আর নির্বাচনে তো আপনারা আসবেন না। কিন্তু নমিনেশন বাণিজ্য ঠিকই চলছে।'

'বিএনপির নেতারা চোখ রাঙাচ্ছে। চোখ রাঙানির দিন শেষ। শপথ নিয়েছি আগুন নিয়ে আসবে, পুড়িয়ে দেবো। ভাঙচুর করতে আসবে, হাত ভেঙে দেবো,' বলেন ওবায়দুল কাদের।  

এরপর শ্লোগান দিতে দিতে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।

এর আগে দুপুর আড়াইটায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ৩ অঙ্গসংগঠনের এ 'শান্তি সমাবেশ' শুরু হয়। দুপুর ৩টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলেও, সমাবেশ চালিয়ে গেছেন আয়োজকরা।

 

Comments

The Daily Star  | English

Cops get whole set of new uniforms

The rules were published through a gazette yesterday, repealing the previous dress code of 2004

2h ago