সাভারে বাসে আগুন, ভাঙচুরের মামলায় বিএনপির ৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা বিশ্লেষণ করে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে আশুলিয়া এলাকায় বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ।

তারা হলেন- ঢাকা জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুরুজ্জামান, ধামরাই পৌরসভার ছাত্রদল কর্মী অপূর্ব চন্দ্র দাস, বিএনপি কর্মী মনিউল ইসলাম, যুবদল কর্মী মো. সুজন ও রাজিব হোসেন।

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা বিশ্লেষণ করে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ তার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা বাসে আগুন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে।

অন্য সহযোগীদের বিষয়ে জানতে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করবে বলে তিনি জানান।

আসাদুজ্জামানের জানান, বিএনপির কিছু নাশকতাকারী ঢাকা-আরিচা গামী মহাসড়কে বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর করে, ককটেল ফুটিয়ে এবং বাসে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
এ ঘটনায় বাসের চালক আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন।

এদিকে সাভার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও গ্রেপ্তার যুবদল নেতা শহিদুল ইসলামের ভাই গোলাম মোস্তফা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমার ভাইসহ তিন জনকে গত তিন দিন আগে রাজধানীর আদাবর থেকে তুলে নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে। আজ তাদের একটা মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া শহিদুলের ড্রাইভার সুজনকে গত পহেলা আগস্ট তুলে নেয়া হলেও আজ তাকেও ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি কার্যালয়ের ওসি রিয়াজ উদ্দিন বিপ্লব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, কাউকেই নির্যাতন করা হয়নি। শহিদুল, সুরুজ্জামান ও মমিনুলকে ৫ তারিখে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের নিয়ে অভিযান চালিয়ে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Comments