বিএনপি-জামায়াত অন্ধকারে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে: আইনমন্ত্রী

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন চত্বরে আলেচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: স্টার

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী অন্ধকারে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে এবং সবসময় মিথ্যা বলে, বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, 'তারা কখনোই সত্যের ধারে-কাছে হাঁটে না, এমনকি খুন করার পর অন্যের কাঁধে দোষ চাপিয়ে দেয়। আমি অন্তত পাঁচটি উদাহরণ দিতে পারি।'

দেশের জনগণকে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে বলে জানান তিনি।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলেচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের ১৭ সদস্যকে হত্যা করেছে, তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে হত্যা করার।

তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারী ও খুনিরা জানত বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারলে বাংলাদেশকে হত্যা করা যাবে।

১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি যারা বাংলাদেশ চায়নি তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা) বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় বিদেশে না থাকলে আমরা তাদের জীবিত পেতাম না। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর কন্যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংগ্রাম ও আন্দোলন করেছিলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করা হবে। তাদেরকে ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। এজন্য কমিশন গঠন করা হবে। আমরা সেই আইনের খসড়া তৈরি করেছি।

মন্ত্রী বলেন, 'আপনারা হয়তো বলবেন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের অনেকেই তো মারা গেছেন। তাহলে এখন কেন এটা করা হবে। আমি বলতে চাই, কোনো প্রতিহিংসার কারণে নয়, জাতিকে সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্য এটা আমরা করব।'

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ট্রেনে করে ঢাকা থেকে আখাউড়ায় আসেন। পরে সড়ক পথে তার নির্বাচনী এলাকা কসবায় যান।

Comments

The Daily Star  | English

UN eyes major overhaul amid funding crisis, internal memo shows

It terms "suggestions" that would consolidate dozens of UN agencies into four primary departments: peace and security, humanitarian affairs, sustainable development, and human rights.

2h ago