কাঁচপুর সংঘর্ষ: বিএনপির ১১৩ জনসহ অজ্ঞাত ৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মামলায় এজাহারনামীয় ২ জন এবং সন্দেহভাজন হিসেবে আরও ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে গত শনিবার বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশের লাঠিচার্জ। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকায় গত শনিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিএনপির সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। গতকাল রাতে সোনারগাঁ থানায় করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের এ মামলায় বিএনপির ১১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান উল্লাহ মামলার তথ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করে বলেন, এ মামলায় এজাহারনামীয় ২ জন এবং সন্দেহভাজন হিসেবে আরও ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার রাতে মামলার পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ আহমেদ বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন৷ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নাশকতা সৃষ্টি করে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান আহসান উল্লাহ।

মামলায় আসামির তালিকায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান আঙ্গুর, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সোনারগাঁ থানা যুবদলের আহ্বায়ক শহীদুর রহমান স্বপন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সজীব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েমসহ ১১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার আসামিরা বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বলে জানান পুলিশ পরিদর্শক আহসান উল্লাহ।

এ মামলায় গ্রেপ্তার ৯ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গত শনিবার বিকেলে কাঁচপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে বাধা দিলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধে। এই সময় পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে বিএনপির কর্মীরা। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন। তিন জন বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হন বলেও দাবি করেন দলটির নেতারা।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago