কথা একটাই, এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে: মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

সরকার 'একতরফা' নির্বাচন করলে জনগণ রুখে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ সোমবার বিকেলে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের মিলনায়তনে 'উত্তরবঙ্গ ছাত্র ফোরাম' ও 'বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম'র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা প্রায়ই বলে যে বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে, বিএনপি চক্রান্ত করছে। আরে, ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত তো তোমরা করছো। এই দেশের মানুষের সব অধিকার তোমরা কেড়ে নিয়েছো, ভোট দাও না। আবার একটা ভোটের দিকে যেতে চাও, যেন আগের মতোই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় খোলা মাঠে ট্রফি নিয়ে চলে যাবে।'

তিনি বলেন, 'এ দেশের মানুষ এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা আর সম্ভব হবে না। এবার আর ওয়াকওভার পাবে না আওয়ামী লীগ। মানুষ রুখে দাঁড়াবে।'

তরুণ ও যু্বকদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'কথা একটাই, এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। আপনারা উঠে আসুন, প্রতিরোধ গড়ে তুলন। এই ভয়াবহ শক্তি আমার জাতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, আমার ভবিষ্যতকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, আমার রাষ্ট্রকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে চলেছে। এই ভয়াবহ সরকারকে অবশ্যই প্রতিরোধ করে দমন করতে হবে, বিজয় লাভ করতে হবে।'

'আমাদের হাজারো নেতাকর্মী, যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের ঋণ শোধ করি এবং যে ৬০০-৭০০ নেতাকর্মী গুম হয়েছে, তাদের পরিবারকে সান্ত্বনা দেই, ৪০ লাখ মানুষ, যারা নির্যাতিত হচ্ছেন, তাদের মুক্ত করি। মোট কথায়, সমগ্র বাংলাদেশকে মুক্ত করি,' যোগ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'আজকে আপনারা (নেতাকর্মীরা) আন্দোলনকে এমন একটা পর্যায় নিয়ে গেছেন—এখন সরকার প্রমাদ গুনছে, সরকার ভয় পেয়েছে। ভয় পাওয়ার কারণে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে, কীভাবে এই গণতন্ত্রের সৈনিকদের পর্যদুস্ত করা যায়, তাদের আটকে রাখা যায়।'

'কিছুদিন আগেও তারা (আওয়ামী লীগ) বলেছে, বিএনপি নেই। এখন যখন বিএনপি মাটি ফুঁড়ে বেরুচ্ছে, তখন তারা আবার প্রমাদ গুনতে শুরু করেছে।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh trade deficit July-August FY25

Trade deficit narrows 2.6% in July-April

The country’s trade deficit narrowed by 2.60 percent in the first ten months of the current fiscal year compared to the same period a year ago, thanks to a rise in export earnings coupled with subdued imports..During the July-April period of fiscal year (FY) 2024-25, the trade gap was $18.

10h ago