নিজেদের সচেতন হতে হবে, শুধু মশা মেরেই শেষ করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী

যারা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে; একটা লেভেলে উঠে গেলে তার দামও বাড়বে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এখন মশার উপদ্রব, ডেঙ্গুর উপদ্রব। এই ক্ষেত্রে আমি মনে করি, সকলেরই কিছু করণীয় আছে। আপনারা নিশ্চয়ই যার যার নিজের ঘর-বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। মশার হাত থেকে বাঁচতে হলে মশারী ব্যবস্থা করতে হবে। নিজেদের সচেতন হতে হবে, শুধু মশা মেরেই শেষ করা যাবে না। নিজেদেরও সচেতনা সৃষ্টি করার জন্য আমি আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাই।'

তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের দেশের মানুষের যাতে কোনো কষ্ট না হয়; ইউক্রেন যুদ্ধের পরে যেসব সমস্যা দেখা দিয়েছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি আমাদের চালু আছে। ৫১ লাখ জন উপকারভোগী। তাদের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। বর্গাচাষিদের আমরা কৃষি ঋণ দিচ্ছি বিনা জামানতে। বিনা জামানতে বর্গাচাষিরা কখনো কৃষি ঋণ পেত না। তাতে তারা জমি চাষ করতে পারে। মহাজনের কাছ থেকে উচ্চ সুদে আর ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।'

এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি অনুরোধ করব। আপনারা নিজেদের জমি চাষ করেন। সেই সঙ্গে আপনারা বৃক্ষ রোপণ করবেন। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন হন। কারণ যে টাকা খরচ হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে তার অল্প টাকা ধরা হয়। এখানে ভর্তুকি দেওয়া হয়। এখানে বড়লোকরাই সুবিধা ভোগ করে। সেই কারণে আমি ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছি, আমাদের সাধারণ মানুষ যেভাবে ব্যবহার করে তাদের জন্য একটা সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। আর যারা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে; একটা লেভেলে উঠে গেলে তার দামও বাড়বে। সেই ব্যাপারটা আমরা আস্তে আস্তে করে ফেলব। তাহলে যারা অল্প খরচ করে তাদের সুরক্ষা দিতে পারব। যারা বেশি ব্যবহার করে তারা বেশি টাকা দেবে—সেইভাবে আমরা আদায় করতে পারব।'

কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে মানুষ সঠিকভাবে সেবাটা পাচ্ছে কি না; বিনা পয়সায় যে ৩০ প্রকার ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, সেটা মানুষ পাচ্ছে কি না তা দেখার জন্য জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, 'টানা তিন বার সরকারে এসেছি। ২০০৯ এ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে, এটা স্থিতিশীল পরিবেশ রেখে আমরা উন্নয়নের কাজ করতে পেরেছি, গণতান্ত্রিক ধারাটা বজায় রাখতে পেরেছি, যার জন্য একেবারে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। আমি জানি, এখনো অনেক গ্রামে কাঁচা রাস্তা আছে। সেগুলো আল্লাহর রহমতে থাকবে না। ইনশাল্লাহ, আবার যদি জনগণের সেবার সুযোগ পাই, নিশ্চয়ই আমরা সেগুলোও করে দেবো। প্রত্যেকটা গ্রাম শহরের মতো গড়ে উঠবে। আমার গ্রাম, আমার শহর সেই পদক্ষেপও আমরা নিয়েছি।'

'মানুষের কল্যাণে কাজ করা আপনার-আমার সবার দায়িত্ব। আর এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে, মানুষের সেবা করে মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করে আপনারা এগিয়ে যাবেন। একবার যখন মানুষ আপনাকে ভোট দিয়েছে, মানুষ যেন আবার আপনাকে ভোট দিতে পারে—আপনাদেরও মানুষের সেই আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। আমরাও এটা চাই, আজকে যে দীর্ঘ দিনের উন্নয়নের ফসল এটা যেন আর নষ্ট না করতে পারে,' জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন শেখ হাসিনা।

Comments

The Daily Star  | English

Of Hilsa and its hunters

On the corner of a crowded and noisy floor, a bespectacled man was calling out bids for a basket of Hilsa fish. He repeated the prices quoted by traders in a loud, rhythmic tone: “1,400-1,420-1,450…”

13h ago