কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম জাতিকে নির্বাচন থেকে সরাতে পারবে না: কৃষিমন্ত্রী
কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম, কোনো হুমকি এই নির্বাচন থেকে জাতিকে সরাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির আহ্বায়ক এবং কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি আরও বলেন, 'অতীতেও তারা নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করেছে। আগুন সন্ত্রাস করেছে, গাড়ি-ঘোড়া পুড়িয়েছে, রেল লাইন তুলে ফেলেছে, বিদ্যুতের লাইন কেটে দিয়েছে, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, শত শত মানুষকে তারা অগ্নিদগ্ধ করেছে।
'এটির আর পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তার জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা খুবই সচেতন। বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগের চেয়ে অনেক বেশি সুশৃঙ্খল এবং সক্ষম-দক্ষ। তারা এটি মোকাবিলা করবে। কোনো অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। দেশকে রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল করতে দেওয়া হবে না,' বলেন রাজ্জাক।
আজ শনিবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রাজ্জাক আরও বলেন, 'দল হিসেবে আমরা মনে করি, নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইনশাল্লাহ আগামী নির্বাচন হবে। যত হুমকি আসুক, যতই ষড়যন্ত্র হোক, আওয়ামী লীগ এ দেশের জনগণকে নিয়ে একটি সুন্দর নির্বাচন জাতিকে উপহার দেবে।'
তিনি বলেন, 'এসডিজি গোলকে সামনে রেখে আমরা উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে রূপান্তর করতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন করব। আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে আমাদের মোট জিডিপি, জিডিপি গ্রোথ কত হবে, দারিদ্র্য কতটুকু কমিয়ে নিয়ে আসব, মুদ্রাস্ফীতি কততে নিয়ে আসব—এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে সার্বিক একটা চাঙ্গা অর্থনীতি; অত্যন্ত গতিশীল এবং সম্প্রসারণমূলক একটি অর্থনীতি নিয়ে আমাদের আগামী নির্বাচনী ইশতেহার রচিত হবে।'
রাজ্জাক আরও বলেন, 'জাতিকে আমরা একটা অত্যন্ত যুগোপযোগী-বাস্তবায়নযোগ্য নির্বাচনী ইশতেহার দেবো। সেই ইশতেহার বাস্তবায়নে আমরা জাতির কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবো।'
এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষিত যুব সমাজের কর্মসংস্থান গুরুত্ব পাবে বলেও এ সময় জানান তিনি।
Comments