‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান আজ আরও বেশি প্রাসঙ্গিক: সিপিবি

‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ শ্লোগানে সিপিবির বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

দেশে দূর্বৃত্তায়িত রাজনীতি ও বর্তমান সরকারের দুঃশাসন স্বৈরাচার কর্তৃত্ববাদের আরেক ভিত্তি তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা।

আজ শুক্রবার শহীদ নূর হোসেন দিবসে রাজধানীর গুলিস্তানে নূর হোসেন চত্বরে ও মুক্তি ভবনে আমিনুল হুদা টিটোর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।

পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বক্তব্য রাখেন। 

এসময় তারা বলেন, ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে বিজয়ী হলেও আজও গণতন্ত্র মুক্তি পায়নি। স্বৈরাচারের আর্থসামাজিক ভিত্তি পাল্টানো যায়নি। আজ দেশে দূর্বৃত্তায়িত রাজনীতি ও বর্তমান সরকারের দুঃশাসন স্বৈরাচার কর্তৃত্ববাদের আরেক ভিত্তি তৈরি করেছে। তাই 'স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক' স্লোগান আজ আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।

নেতারা নীতিনিষ্ঠ অবস্থান থেকে দুঃশাসনের অবসান ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম গড়ে তুলতে সচেতন দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

তারা বলেন, ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর পালাক্রমে যারা দেশ শাসন করেছে, তারা তিন জোটের রূপরেখা ও আচরণবিধি বাস্তবায়ন করেনি। বরং ক্ষমতায় আসা ও ক্ষমতায় যাওয়ার প্রতিযোগিতায় ওই তিন জোটের অঙ্গীকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। দেশের বর্তমান সংকট এরাই তৈরি করেছে। এদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন, গণসংগ্রাম গড়ে তুলেই জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সমাজ বদলের সংগ্রাম অগ্রসর করতে হবে।

এরপর 'স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক' শ্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।  

এসময় সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় নেতা সাজ্জাদ জহির চন্দন, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন রেজা, অনিরুদ্ধ দাস অঞ্জন, ডা. সাজেদুল হক রুবেল, মন্টু ঘোষ, কাজী রুহুল আমিন, মানবেন্দ্র দেব ও লাকি আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Rohingya influx: 8 years on, repatriation still elusive

Since the repatriation deal was signed with Myanmar in November 2017, Bangladesh tried but failed to send Rohingyas back.

10h ago