রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর, ফখরুল-খসরু কারাগারে

আদালত পুলিশকে দুই কার্যবিদবসের মধ্যে জেল গেটে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

পল্টন থানায় ও পুলিশের ওপর হামলা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে রিমান্ডে নিতে পুলিশের আবেদন এবং তাদের আইনজীবীদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। 

আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ আদেশ দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

একই সাথে আদালত পুলিশকে দুই কার্যবিদবসের মধ্যে জেল গেটে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।

পল্টন থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুমিত কুমার সাহার শনিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুর ১টার দিকে মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুকে আদালতে হাজির করা হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিকেলে পল্টন মডেল থানায় হামলার ঘটনায় করা মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু এজাহারনামীয় আসামি।

এজাহারে বলা হয়, তাদের নির্দেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা থানার সামনে জড়ো হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়।

এ ঘটনায় ফখরুল ও আমীর খসরুসহ ১০২ জনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলা করে পুলিশ।

তদন্ত কর্মকর্তা তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

অপরদিকে মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেছবাহ দুই নেতার জামিন আবেদন করেন।

জামিন শুনানির আগে মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মহসিন মিয়া আদালতকে বলেন, মির্জা ফখরুল একজন বয়স্ক মানুষ, তিনি হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তাকে এই মামলায় অযথা হয়রানির জন্য জড়ানো হয়েছে। তিনি নির্দেশদাতাও নন এবং ঘটনাস্থলেও ছিলেন না। তাই তার বয়স, রাজনৈতিক পদমর্যাদা এবং অসুস্থতা বিবেচনা করে রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর পূর্বক জামিন মঞ্জুরের আবেদন করা হোক।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত উভয় আবেদন নামঞ্জুর করে দুই নেতাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত ২৮ অক্টোবর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় পরদিন মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। 

পরে ২২ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন সেশন জজ আদালত আবারও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

৭ ডিসেম্বর তৃতীয়বারের মতো তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

গত ৩ নভেম্বর গুলশান এলাকা থেকে আমীর খসরুকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে কনস্টেবল নিহতের ঘটনায় করা মামলায় তাকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

Comments