নির্বাচনী বিরোধ: রূপগঞ্জে আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, যানবাহনে আগুন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নির্বাচনী বিরোধের জেরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। এসময় ইউপি কার্যালয় ভাঙচুর ও একটি প্রাইভেটকারসহ ৪টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। 
দাউদপুর ইউপি চেয়ারম্যানের প্রাইভেটকার পুড়ছে। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নির্বাচনী বিরোধের জেরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। এসময় ইউপি কার্যালয় ভাঙচুর ও একটি প্রাইভেটকারসহ ৪টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দাউদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আমিন রানা ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সাত্তারের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ থাকলেও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ বিরোধ আরও বাড়ে।

সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়ার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় ছিলেন। অন্যদিকে, রফিকুল, আমিন ও সাত্তার ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর পক্ষে। নির্বাচনে গোলাম দস্তগীর গাজী বিজয়ী হন। 

নির্বাচনের সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধেরে জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান স্থানীয়রা।

এ ঘটনায় নিজের সমর্থক মোছা. তুলি, মো. রাজু, মো. ফয়সাল ও মো. তামিম আহত হয়েছেন বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর।

তিনি বলেন, 'দুপুরে ইউপি কার্যালয়ের সামনে শীতবস্ত্র বিতরণের আগে রফিকুল ইসলাম, আমিন রানা ও আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে শতাধিক লোক ইউপি কার্যালয়ে হামলা করে। তাদের বাধা দিতে গেলে কয়েকজনকে মারধর করে।'

'তারা আমার একটি প্রাইভেট কারসহ কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে', যোগ করেন তিনি।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিন রানা বলেন, 'আমি জানতে পারি, ইউনিয়ন পরিষদের কাছে বটতলায় আমাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা করেছে নুরুল ইসলামের লোকজন। পরে সেখানে গিয়ে মারামারি ও যানবাহনে আগুন জ্বলতে দেখি। কিছুক্ষণ পর পুলিশ আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং আমি সেখান থেকে চলে আসি। আগুন বা মারামারির ঘটনায় আমাদের কেউ জড়িত না।'

ঘটনাস্থলে যাওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবির হোসেন বলেন, 'পুরোনো বিরোধের জেরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। সেখানে ইউপি চেয়ারম্যানের গাড়িসহ ৪টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।'

Comments