মানিকগঞ্জে আ. লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানের অনুসারীরা সাবেক এমপি মমতাজ বেগমের অনুসারীদের ওপর হামলা চালায় বলে জানা গেছে। 
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়েছে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

আহতরা হলেন-উপজেলা যুবলীগের ১ নম্বর যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরিদ মোল্লা, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রজ্জব আলী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জনি। 

তাদের মধ্যে রজ্জব আলী ও জনি হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং ফরিদ মোল্লা মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, হরিরামপুরে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতাদের স্মরণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু।

অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানের অনুসারীরা সাবেক এমপি মমতাজ বেগমের অনুসারীদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

হামলার শিকার যুবলীগ নেতা ফরিদ মোল্লা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইফতার করে নামাজের উদ্দেশে যখন বের হই, তখনই উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে।'

তিনি আরও বলেন, 'আগে আমরা দেওয়ান সাইদুরের সঙ্গে ছিলাম। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে তার কাজ না করায় প্রতিহিংসামূলকভাবে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।'

'দেওয়ান সাইদুরের ছেলে নবীনুর, এরশাদ, রানা, রফিক ও দেওয়ান মুরাদসহ বেশ কয়েকজন মিলে এ হামলা করেছে,' বলেন তিনি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তামজিদ উল্লাহ প্রধান লিল্টু ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দেওয়ান সাইদুর রহমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখান। আজ তেমনই একটা ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি।'

জানতে চাইলে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে দেওয়ান সাইদুরের ছেলে দেওয়ান নবীনুর ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনার সময় আমি এলাকাতেই ছিলাম না। আমি ঢাকা গিয়েছিলাম। ঢাকা থেকে সাড়ে ৮টা-৯টার দিকে এসেছি।'
  
যোগাযোগ করা হলে হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার লোকজনের বিরুদ্ধে পুরোপুরি  মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তারা নিজেরা মারামারি করে আমার লোকজনের ওপর দায় চাপাচ্ছে।' 

জানতে চাইলে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ নূর এ আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সেখানে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। আমরা কাছাকাছিই ছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি।'

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago