আশা করি নতুন বছরে দেশের সামগ্রিক রূপান্তরের পর্বে উপনীত হতে পারব: তারেক রহমান

তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আশা করি নতুন বছরে দেশের সামগ্রিক রূপান্তরের পর্বে উপনীত হতে পারব।

আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।

দেশবাসীকে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, 'কামনা করি সবার জীবনে খৃষ্টিয় নববর্ষ অনাবিল আনন্দ, সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, শান্তি ও কল্যাণ বয়ে আনুক।'

তিনি বলেন, 'পুরোনো বছরের ব্যর্থতা, গ্লানি, হতাশাকে ঝেড়ে ফেলে নবউদ্যোমে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায় নববর্ষ। নতুনকে বরণ করা মানুষের সহজাত প্রবণতা। নতুন বছরে আমরা দেশের সামগ্রিক রূপান্তরের একটি পর্বে উপনীত হতে পারবো বলে আশা রাখি।'

'অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আসুন আমরা রাষ্ট্র ও সমাজে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে একযোগে কাজ করি। আমরা এমন একটি জাতি নির্মাণের প্রত্যাশা করছি, যেখানে প্রত্যেকটি নাগরিকই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রত্যেকের কণ্ঠ স্বাধীন থাকবে,' বলেন তিনি।

তারেক রহমান আরও বলেন, 'গেল বছরটি এখন আমাদের মনে জাগরুক হয়ে থাকবে। গত বছরের বেশকিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা, ছাত্র-জনতার আত্মদান এবং অধিকার হারানোর যন্ত্রণা আগামী বৎসরে আমাদের একদিকে যেমন বেদনার্ত করবে আবার অন্যদিকে নতুন উদ্যমে শান্তি, সম্প্রীতি ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনায় আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করবে।'

তিনি বলেন, 'আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার হবে—জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সমূহ শক্তিশালী করা ও অর্থনীতির পুনরুদ্ধারসহ বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনে একযোগে কাজ করা। বাংলাদেশে অজস্র রক্তঋণে অর্জিত গণতন্ত্রের প্রয়োগ ও অনুশীলনে আমাদেরকে তৎপর হতে হবে। গণবিরোধী পরাজিত শক্তি এতদিন জনগণের সকল অধিকারকে বন্দী করে রেখেছিল।'

'এ অবস্থায় সকল গণতান্ত্রিক শক্তির মিলিত প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করতে হবে। হৃত গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সংগ্রামী মানুষকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য আমি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি,' বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক।
 

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

5h ago