শরিয়াবিরোধী বক্তব্য না দিতে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলনের যৌথ সিদ্ধান্ত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যালয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ১০টি যৌথ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইসলামি শরিয়ার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া ও ইসলামবিরোধী বক্তব্য থেকে বিরত থাকা।

আজ রাজধানীর পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নেতাদের সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন।

বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মো. রেজাউল করিম তার দলের পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন। মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।

অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে: জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে আধিপত্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও সাম্রাজ্যবাদমুক্ত একটি সার্বভৌম, স্বাধীন, টেকসই ও গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা; দ্রুত বিচারিক কার্যক্রমের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি ও অর্থ পাচারকারীদের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা; ভোটাধিকার ও সকল মৌলিক মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐকমত্য গঠন এবং স্বল্পতম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।

যৌথ সিদ্ধান্তে আরও বলা হয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, সকল বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা; আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তি দেশ পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।

যৌথ সিদ্ধান্তে আরও বলা হয়, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবে।

ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের মতো কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে তারা রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকবেন বলেও দুই দলের নেতারা সিদ্ধান্ত নেন।

এই বৈঠকের আগে ইসলামী আন্দোলনের আমিরের সঙ্গে বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল।

ইসলামী আন্দোলনের মিডিয়া সমন্বয়কারী শহীদুল ইসলাম কবির জানান, দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটে শুরু হওয়া বৈঠকটি চলে সোয়া ২টা পর্যন্ত। পরে তারা একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন।

Comments

The Daily Star  | English

Exporters fear losses as India slaps new restrictions

Bangladesh’s exporters fear losses as India has barred the import of several products—including some jute items—through land ports, threatening crucial trade flows and millions of dollars in earnings.

6h ago