সরকার নিরপেক্ষতা-আস্থা হারালে দায়-দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকার যদি নিরপেক্ষতা হারায়, বিশ্বাস হারায়, আস্থা হারায় তাহলে এ দায়-দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে।
তিনি আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মুক্ত মঞ্চে কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এর আগে বিকেল ৩টা থেকে এ সমাবেশ শুরু হয়।
জুলাই-আগস্টে যারা আন্দোলন করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, 'ওই আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সবচেয়ে বেশি নেতাকর্মী জেলে গেছেন, পঙ্গু হয়েছেন। তবুও এই আন্দোলনের সফলতা বাংলাদেশের মানুষের। আজকে যে সরকার আছে সেটা সবার সমর্থনপুষ্ট সরকার। কিন্তু তারা যদি নিরপেক্ষতা হারায়, বিশ্বাস হারায়, আস্থা হারায় তাহলে এ দায়-দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে। বিএনপির যারা লড়াই-সংগ্রাম করেছিলেন তারা কিন্তু এখনো ঘরে ফিরে যাননি।'
তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশ সৃষ্টির পর এ পর্যন্ত যত সংস্কার হয়েছে, সবগুলো বিএনপির আমলে হয়েছে এবং আগামী দিনেও যত সংস্কার হবে সেটাও বিএনপির নেতৃত্বে হবে।'
দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের বাহক, গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব একটাই, নির্বাচিত সরকারের হাতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা তুলে দিয়ে বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করা। আবার বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়া। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে আইন-শৃঙ্খলা ও দ্রব্যমূল্য সহিষ্ণু অবস্থায় চলে আসে। যেটা আমরা শেখ হাসিনার সময়ে দেখিনি। কারণ, শেখ হাসিনা নির্বাচিত ছিলেন না।'
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, জেলা বিএনপির সদস্য কবীর আহমেদ ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন।
Comments