কাদের সুবিধার জন্য নির্বাচনের তারিখ ‘শিফটিং’ হচ্ছে, প্রশ্ন সালাউদ্দিনের

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনের তারিখ 'শিফটিং' জাতি ও আন্তর্জাতিক অঙ্গন ভালোভাবে নেবে না।
নবগঠিত রাজনৈতিক দল ভাসানী জনশক্তি পার্টির আজ রোববার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নতুন এ রাজনৈতিক দলের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, 'নির্বাচনের কথা বললেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু গণতন্ত্রের কথা বলে, গণতন্ত্রের উল্টা দিকে যাত্রা শুরু করলে, নির্বাচনের কথা বলে নির্বাচন নিয়ে ধোয়াশা সৃষ্টি করা কি গণতন্ত্রের জন্য শুভ? এটা কি গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ছিল?'
তিনি বলেন, 'আমরা সকল মেধা ও প্রতিভাকে সম্মান জানাই যারা রাষ্ট্রের কাজে নিয়োজিত আছেন। কিন্তু সেটা কি গণতন্ত্র ছাড়া আপনারা পারবেন? যখনই আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবি করি, তখনই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উপদেষ্টা পর্যন্ত বক্তৃতা দিতে শোনা যায় জনগণ নাকি তাদেরকে পাঁচ বছরের জন্য চায়।'
'স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ আমরা বহু কমেন্টে দেখেছি। সেটা উনি দেখেন নাই? কাল উপদেষ্টা ফরিদা আপা বললেন যে, উনারা নাকি নির্বাচিত হয়েছেন। কীভাবে? গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে উনাদের নির্বাচিত করেছে জনগণ। তাহলে এদেশে ইলেকশন কমিশন আছে কেন,' প্রশ্ন রাখেন বিএনপির এই নেতা।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, 'নির্বাচিত সরকারের বিকল্প আপনারা হতে পারেন না। আপনারা অবশ্যই অনির্বাচিত, সেটা প্রতিদিনই আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে। নির্বাচনের জন্য ভোটাধিকারের জন্য গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য এ দেশের হাজার মানুষ শহীদ হলেন গণঅভ্যুত্থান হলো ফ্যাসিবাদের পতন হলো, সেই নির্বাচন ভোটাধিকারকে আপনারা অস্বীকার করছেন।'
'কাদের আপনারা উৎসাহিত করছেন? কোন গণতান্ত্রিক শক্তিকে আপনারা সুবিধা দিচ্ছেন? কাদের সুবিধা দেওয়ার জন্য কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বর থেকে জুন, জুন থেকে ডিসেম্বর আসা যাওয়া করছেন এক জায়গায় স্থির থাকতে পারছেন না কেন,' প্রশ্ন রাখেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে সালাহউদ্দিন আরও বলেন, 'আপনি পৃথিবী বিখ্যাত সম্মানিত ব্যক্তি। আপনার এরকম শিফটিং জাতি ও আন্তর্জাতিক অঙ্গন ভালোভাবে নেবে না। আপনারা বৈঠকে কথা দিয়েছিলেন সব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে ডিসেম্বরে সামনে রেখে জাতীয় নির্বাচনের উদ্দেশ্যে। আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসেছি। তাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি আগামী জুন মাসের ভেতরে সমাপ্ত হবে। তারা বলেছেন ডিসেম্বরের ভেতরে তারা নির্বাচন দেয়ার জন্য উদগ্রীব।'
'জানি না কেন এই দেশে সবাই এগুলার সমর্থনে কথা বলতে উচ্চকিত হচ্ছেন না। আমাদের অনেক রকমের অভিজ্ঞতা আছে, তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে ওয়ান ইলেভেনের। তারাও অনেক রকমের কথা বলে বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় দুই বছর পর্যন্ত ছিলেন,' যোগ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চাই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।'
Comments