শাহবাগে অবরোধ গড়াল দ্বিতীয় দিনে, গণজমায়েতের জন্য ভিড় বাড়ছে

শাহবাগ মোড়ে দুপুর ১২টার চিত্র। ছবি: আমরান হোসেন/স্টার

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ তিন দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ মোড় অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর আহ্বানে শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি দ্বিতীয় দিনে গড়াল।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়াদের অনেকে রাতে শাহবাগেই অবস্থান নেন। আজ সকালেও তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা পুনর্ব্যাক্ত করেন।

অবরোধ শুরুর পর থেকে এই মূহুর্তেও শাহবাগ মোড় এলাকায় সাধারণ যান চলাচল বন্ধ আছে। তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবার যানবাহন চলছে।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে জুলাই আন্দোলনে আহত ব্যক্তিরাদের উপস্থিতিও দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠেয় গণজমায়েতে অংশ নিতে আসা মানুষের ভিড় বাড়ছে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশ ছাড়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে হাসনাত নিজের ফেইসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেওয়ার পর সেখানে এক দল বিক্ষোভকারী জড়ো হন।

শুক্রবার জুমার পর তারা মিন্টো রোডের প্রবেশ মুখে মঞ্চ বানিয়ে সেখানে সমাবেশ করেন। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে তাতে অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

সেই অবস্থান কর্মসূচির অস্থায়ী মঞ্চ থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধের ঘোষণা দেন হাসনাত।

এরপর বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার কাছে মিন্টো রোডের প্রবেশ মুখে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ মোড়ে গিয়ে অবস্থান নেন।

পরে রাতে এই অবরোধ ও অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে আজ শনিবার বিকাল ৩টার দিকে শাহবাগে গণজমায়েত পালনের ঘোষণা দেন হাসনাত। বলেন, 'সারা দেশে যেখানে যেখানে জুলাই আন্দোলন হয়েছে, আমরা সেখানে সেখানে গণজমায়েত ঘোষণা করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের দাবি আদায় না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা শাহবাগ ছাড়ব না। আগামীকাল আওয়ামী লীগের নির্যাতন ও নিপীড়নের চিত্র পদর্শিত হবে।'

তবে আজ শনিবার ভোর ৪টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে সমর্থকদের দেশের অন্য কোথাও সড়ক অবরোধ না করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'শাহবাগ ছাড়া ঢাকাসহ দেশের অন্য কোথাও মহাসড়ক অবরোধ করবেন না। জেলা পর্যায়ে স্বতঃস্ফূর্ত সমাবেশ ও মিছিল করুন, তবে বিদ্যমান অবরোধ তুলে নিন।'

এনসিপির ৩ দফা দাবিগুলো হচ্ছে—আওয়ামী লীগের যত সহযোগী সংগঠন রয়েছে সকল সংগঠনসহ আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করা ও জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা।

Comments

The Daily Star  | English
August 5 declared as July Mass Uprising Day

Govt declares August 5 as ‘July Mass Uprising Day’

It also declared August 8 as "New Bangladesh Day" and July 16 as "Shaheed Abu Sayed Day"

2h ago