চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে যান চলাচল বন্ধ, পুলিশের টিয়ার শেল-রাবার বুলেট

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে যান চলাচল বন্ধ, পুলিশের টিয়ার শেল-রাবার বুলেট
আজ বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে | ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর উত্তর প্রান্তে কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ সড়কে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।

শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে এ সময় পুলিশ টিয়ার শেল ও মুহুর্মুহু রাবার বুলেট ছোড়ে।

'শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাব ও সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে' এদিন কমপ্লিট শাটডাউন (সর্বাত্মক অবরোধ) পালন করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

হাসপাতাল, গণমাধ্যমসহ অন্যান্য জরুরি সেবা ছাড়া এই কর্মসূচি চলাকালে সব কিছু বন্ধ থাকবে—ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে যান চলাচল বন্ধ, পুলিশের টিয়ার শেল-রাবার বুলেট
আজ বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে | ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

এর আগে সকাল ১০টার দিকে নগরীর এই প্রবেশ পথে অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আঞ্চলিক সড়কের এই অংশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এতে চট্টগ্রাম নগরী থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোতে এবং কক্সবাজারগামী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্য প্রান্ত থেকে আসা যানবাহন সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে আটকা পড়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, 'সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ সড়কে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে এ সময় পুলিশ টিয়ার শেল ও মুহুর্মুহু রাবার বুলেট ছোড়ে।'

তারা আরও জানান, 'এ সময় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে শহরের দিকে এগিয়ে আসে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলছিল। এ সময় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায়।'

Comments

The Daily Star  | English

Why was July 2025 wetter in Bangladesh?

Bangladesh experienced three low-pressure systems on July 7, July 14 and July 24 which led to heavy rain

55m ago