কালুরঘাটে ফেরির টোল নিয়ে বাগবিতণ্ডা, আড়াই ঘণ্টা পারাপার বন্ধ

ফেরি চালুর দ্বিতীয় দিনে আজ বুধবার টোল নিয়ে আদায়কারীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়েছে মোটরসাইকেল চালকদের।
কালুরঘাট
কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায়, গতকাল কর্ণফুলী নদীতে ফেরি চলাচল চালু হয়। ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

চট্টগ্রামে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায়, গতকাল মঙ্গলবার কর্ণফুলী নদীতে চালু হয় ফেরি চলাচল। 

ফেরি চালুর দ্বিতীয় দিনে আজ বুধবার টোল নিয়ে আদায়কারীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়েছে মোটরসাইকেল চালকদের।

এর জেরে ফেরি সার্ভিস বন্ধ ছিল প্রায় আড়াই ঘণ্টা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছিলেন ফেরি দিয়ে কর্ণফুলী নদী পারাপারকারীরা।

সকাল ৭টা থেকে ফেরি চালুর কথা থাকলেও, পারাপার শুরু হয় সাড়ে ৯টার দিকে।

জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতু সংস্কার কাজের জন্য সেতুর বিকল্প হিসেবে এই ফেরি সার্ভিস চালু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)।

গতকাল দুপুর থেকে কালুরঘাট সেতু সংস্কার শুরু করে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

বোয়ালখালী উপজেলা ও পটিয়া উপজেলার একাংশের বাসিন্দারা কালুরঘাট সেতু ব্যবহার করে চট্টগ্রাম শহরে আসা-যাওয়া করেন।

স্থানীয়রা জানান, রিকশাসহ সব যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু মোটরসাইকেল চালকরা টোল দিতে অনীহা প্রকাশ করে। 

এর আগে, সেতু পার হতে মোটরসাইকেল থেকে টোল আদায় করা হতো না।

বন্দরনগরীর নন্দনকানন এলাকায় একটি ফার্নিচারের দোকানে চাকরি করেন বোয়ালখালীর গোমদণ্ডীর বাসিন্দা আসিফুল ইসলাম। সকালে ফেরি বন্ধ থাকায় তিনি দুর্ভোগে পড়েন।

দ্য ডেইলি স্টারকে আসিফুল বলেন, 'ঘোষণা ছাড়া সকালে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। পরে বাধ্য হয়ে ছোট নৌকা দিয়ে নদী পার হয়ে শহরে এসেছি।'

জানতে চাইলে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মঙ্গলবার রাতে কয়েকজন মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী টোল আদায় করা নিয়ে আদায়কারীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে তারা টোল বক্স ভাঙচুর করে।'

এ ঘটনায় বোয়ালখালী থানায় জিডি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা আরও বলেন, 'বুধবার সকালে নিরাপত্তাজনিত কারণে কয়েক ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছি। পরে ‍পুলিশসহ প্রশাসনের আশ্বাসে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়।'

সওজের পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেতু সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী অক্টোবর পর্যন্ত এই নৌপথে দুটি ফেরি চলাচল করবে। পাশাপাশি একটি ফেরি সার্বক্ষণিক স্ট্যান্ডবাই রাখা হবে।

নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, 'নিরাপত্তা ও আলোর সমস্যার কারণে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সাধারণ নিয়মে ফেরি চলাচল করবে। তবে রোগী বা জরুরি কারণে চাহিদা অনুযায়ী ফেরি চলবে।'

নদীতে অতিরিক্ত জোয়ার কিংবা ভাটার সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
 

Comments