চবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ করেছেন এক শিক্ষার্থী।

আজ বুধবার চবির যৌন হয়রানি বিরোধী সেলে অভিযোগ দেন ২০১৭-১৮ সেশনের এক শিক্ষার্থী।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চবি প্রশাসন যৌন হয়রানি বিরোধী সেলের প্রধান প্রফেসর ড. জারিন আক্তারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

অভিযোগকারী শিক্ষার্থী গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ওই অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে থিসিস করছেন।

অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে চবি উপাচার্য অধ্যাপক শিরীন আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং সেল প্রধানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে তদন্ত করতে বলেছি। কমিটি ভুক্তভোগী ও শিক্ষক উভয়কেই আগামীকাল কমিটির সদস্যের কাছে তাদের বক্তব্য দিতে বলেছে।'

লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত শিক্ষক তার তত্ত্বাবধানে থিসিস শুরু করার পর থেকেই তাকে মৌখিক ও শারীরিকভাবে আক্রমণ করতেন এবং গায়ে হাত দিতেন।

৬ জানুয়ারি সকালেও অভিযুক্ত শিক্ষক তার গায়ে হাত দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থী।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ১৩ জানুয়ারি ল্যাব ক্লাস নেওয়ার নামে ওই শিক্ষার্থীকে কক্ষে ডেকে নেন অভিযুক্ত শিক্ষক এবং সেখানে তাকে ধর্ষণ চেষ্টা করেন।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, এই ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য অভিযুক্ত শিক্ষক তাকে এবং তার দুই বন্ধুকে বারবার হুমকি দিয়েছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত শিক্ষক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তিনি আমার ছাত্রী। আমি জানি না কেন আমার বিরুদ্ধে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ আনলেন। আমি ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষকতা করছি। এত বছরের ক্যারিয়ারে আমি কখনও এই ধরণের মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যাইনি। আপনি আমার অন্যান্য শিক্ষাদের কাছে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।'

তিনি বলেন, 'এটা সত্য যে অনেক সময় শিক্ষার্থীদেরকে তাদের ভবিষ্যতের জন্য ক্লাসে আরও মনোযোগী করার জন্য ধমক দিতে হয়। কিন্তু, এর অর্থ এই নয় যে আমি শারীরিকভাবে কাউকে স্পর্শ করব।'

তিনি আরও বলেন, 'গত ৭ জানুয়ারিও ওই ছাত্রী এবং তার বন্ধুরা আমার বাড়িতে এসেছিলেন এবং হাসিমুখে একসঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়েছেন।'

অভিযুক্ত শিক্ষকের বিভাগীয় প্রধান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তিনি আমার ছাত্র ছিলেন, এখন সহকর্মী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কখনো তার বিরুদ্ধে বিভাগে কারো কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। আমি ভিসি অফিসের কাছ থেকেই এটা জানতে পেরেছি।'

Comments

The Daily Star  | English
Unhealthy election controversy must be resolved

Unhealthy election controversy must be resolved

Just as the fundamental reforms are necessary for the country, so is an elected government.

9h ago