যাত্রী সেবার মান বাড়াতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গণশুনানি

এই বিমানবন্দরে দিয়ে বছরে ৪০ লাখ যাত্রী আসা-যাওয়ার সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে মাত্র ১৬ লাখ যাত্রী পরিবহন হয়।
গণশুনানিতে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

বিমানবন্দর ব্যবহারকারীদের জন্য সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে গণশুনানির আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই গণশুনানির আয়োজন করা হয়। এতে বিমানবন্দরে নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থার প্রধান, অংশীজন এবং যাত্রীরা অংশ নেন।

বিমান বন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, শাহ আমানতে যাত্রী-হয়রানি কমাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই বিমানবন্দরে দিয়ে বছরে ৪০ লাখ যাত্রী আসা-যাওয়ার সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে মাত্র ১৬ লাখ যাত্রী পরিবহন হয়। যাত্রী বাড়াতে এবং ফ্লাইট ভাড়া প্রতিযোগিতামূলক করতে বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির এয়ারলাইনসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কাতার এবং সৌদি এয়ারলাইনসের সঙ্গে এখন আলোচনা চলছে। এই সংস্থাগুলো শাহ আমানতে ফ্লাইট পরিচালনা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিমানবন্দরের এয়ারফিল্ডের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে তাসলিম আহমেদ আরও বলেন, এখন চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে বড় উড়োজাহাজ উঠা-নামা করতে পারে। তাই বিদেশি অনেক এয়ারলাইন্স কোম্পানিকে ফ্লাইট পরিচালনার আহ্বান জানানো হয়েছে।

গণশুনানিতে অংশ নেওয়া সৌদিগামী যাত্রী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বিদেশফেরত যাত্রীদের কাছে বকশিশ চেয়ে আনসার সদস্যরা বিড়ম্বনায় ফেলেন। এছাড়া ট্রলি সংকট, ব্যাগেজ হারানোর ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক। এসব সমস্যা দ্রুত সমাধান চান যাত্রীরা।

যাত্রীদের এসব অভিযোগ দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন তাসলিম আহমেদ। হজ মৌসুমকে সামনে রেখে হাজীদের সুবিধার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

গণশুনানিতে যাত্রীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের উপ পরিচালক সৈকত চৌধুরী, আনসার ব্যাটেলিয়নের উপজেলা কমান্ডার ফরিদা পারভীন সুলতানা প্রমুখ।

Comments