শিশু-কিশোর

আজ হাসি দিবস

একটি দিন সুন্দর করতে হাসির কোনো বিকল্প নেই। কখনো আমরা নিজে থেকে হাসি, কখনো অন্যের হাসি দেখে হাসি, আবার কখনো আনন্দে হাসি। যেভাবেই হাসি না কেন পৃথিবীতে নানা রকম হাসি আছে। তাই হয়তো রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই লিখেছিলেন-

হাসতে নাকি জানে না কেউ
কে বলেছে ভাই
এই শোন না কত হাসির
খবর বলে যাই…

যাই হোক কত হাসির খবর দিতে না পারলেও তোমাদের আজ একটি খবর দিতে পারবো। আর তা হলো আজ বিশ্ব হাসি দিবস। অবাক হচ্ছো? ভাবছ হাসির আবার দিবস হয় নাকি? তবে, তুমি যা ভাব না কেন আজ হাসি দিবস। প্রতিবছর অক্টোবরের প্রথম শুক্রবার বিশ্ব হাসি দিবস উদযাপন করা হয়।

যেহেতু আজ হাসি দিবস তাই দিনটি অন্যের মুখে হাসি ফোটানোর উপযুক্ত দিন। তুমি চাইলে স্কুলের গোমড়ামুখো বন্ধুটির মুখেও আজ হাসি ফোটাতে পারো। কিন্তু, কীভাবে হাসি ফোটাবে। এই প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ- দুর্দান্ত একটি কৌতুক বলে তাকে হাসাতে পারো। না হলে গোপল ভাঁড়ের কোনো ভিডিও দেখিয়ে হাসাতে পারো। আরও অনেকভাবে হাসানো যায়, একটু ভাবলেই তুমি অনেক উপায় পেয়ে যাবে। হাসি দিবসে তোমার হাসিমুখটাও যেন থাকে। অন্তত আজকের দিনটার জন্য হলেও মুখ ভার করে থেক না। পরিবারের সবার সঙ্গেও হাসিমুখে কথা বল, ব্যস হয়ে যাবে তোমার হসি দিবস উদযাপন।

বিশ্ব হাসি দিবসে সারাবিশ্বে এমন অনেক ঘটনা ঘটে, যার সবগুলোই মানুষকে ভালো রাখতে ও অন্যদের সঙ্গে দারুণ কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়ার পরিকল্পনা থেকে করা হয়। এর মধ্যে আছে- সুন্দর বার্তা পাঠানো এবং যাদের প্রয়োজন তাদের খাবার দেওয়া।

এখন জেনে নাও বিশ্ব হাসি দিবস নিয়ে কিছু মজার ও অবাক করা তথ্য। তুমি কি জান, ১৯৯৯ সালে ইন্টারনেট ইমোটিকনের জন্য ৪৭০টি স্মাইলি নকশা করা হয়েছিল? ভাবো তো কতগুলো স্মাইলি মুখ!

স্মাইলি মুখটি শুধু আনন্দ নিয়ে আসেনি, এটি প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে! আর অর্থও কিন্তু মানুষের মুখে হাসি আনে। স্মাইলি কোম্পানির অফিস কত টাকা আয় করে তা জেনে তোমরাও হয়তো খুশি হবে। এটি প্রতি বছর ৫৫ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করে।

তোমরা কি জান, জীবনের জন্য হাসি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন হাসি তখন এন্ডোরফিন তৈরি হয়। এগুলো হলো নিউরোট্রান্সমিটার যা আনন্দের অনুভূতি সৃষ্টি করে। তোমাদের আরেকটি তথ্য দিচ্ছি- আচ্ছা বলোতো, হাসিমুখের জন্য হলুদ রঙ কেন ব্যবহার করা হয়েছিল? হয়তো তুমি কিছুটা হলেও অনুমান করতে পেরেছ! হলুদ হলো প্রফুল্লতার প্রতীক, তাই হাসিমুখের জন্য এর চেয়ে ভাল রঙ আর কী হতে পারে?

অনেক তো কথা হলো এবার একটু হাসি দিবসের ইতিহাস থেকে ঘুরে আসি। শোনো- ২টি বিন্দু দিয়ে চোখ, একটি উল্টানো বক্ররেখার মুখ, আর তার সঙ্গে একটি বৃত্ত। এটি এঁকেছিলেন হার্ভি বল। যা বিশ্বের সবচেয়ে আইকনিক প্রতীকগুলোর একটি। পরে এটি দ্রুত গ্রাফিতি থেকে আধুনিক দিনের ইমোজিকে পাল্লা দিতে পেরেছিল। আর এটিকে বলা হয় স্মাইলি ইমোজি।

এতক্ষণ যা বললাম তা কিন্তু স্মাইলি ইমোজি বা মুখ নিয়ে বলেছি। অনেকের দাবি এটিই বিশ্বের প্রথম ইমোজি। সেই দাবির পক্ষে-বিপক্ষে অনেক যুক্তি আছে। তবে, হার্ভি বলের উদ্বেগ ছিল- তার ছোট্ট ইমোজির বাণিজ্যিকীকরণ এটিকে তার মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করবে। এই উদ্বেগের কারণেই তিনি বিশ্ব হাসি দিবসের প্রচলন করেন। হার্ভির উদ্দেশ্য ছিল- এই দিনে জাতি, লিঙ্গ বা ভৌগলিক অবস্থান নির্বিশেষে সবার মাঝে আনন্দ ও ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়া।

হার্ভি ২০০১ সালে এই পৃথিবী থেকে চলে যান। কিন্তু তিনি যে ফাউন্ডেশনটি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছিলেন সেটি হলো- হার্ভে বল ওয়ার্ল্ড স্মাইল ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশটি প্রতি বছর বিশ্ব হাসি দিবসের পৃষ্ঠপোষকতা করে।

Comments

The Daily Star  | English

DU JCD leader stabbed to death on campus

Shahriar Alam Shammo, 25, was the literature and publication secretary of the Sir AF Rahman Hall unit of Jatiyatabadi Chhatra Dal

3h ago