গাজা ছাড়তে না পারলে ওরা মারা যেতে পারে: হামজা ইউসুফ

হামজা ইউসুফ
হামজা ইউসুফ। ছবি: রয়টার্স

স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার হামজা ইউসুফের শ্বশুরবাড়ি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায়। গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালালে এর একদিন পর হামজা জানান যে তার স্ত্রী নাদিয়া আল নাকলার আত্মীয় স্বজন, বিশেষ করে তার বাবা-মা সেখানে আটকা পড়েছেন।

এরও এক সপ্তাহ পর গত সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে হামজা ইউসুফ জানান, তার শ্বশুর ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত মাজেদ আল নাকলা ও স্কটিশ শাশুড়ি এলিজাবেথ আল-নাকলা আত্মীয়-স্বজনদের দেখতে গাজায় যাওয়ার পর সেখানে ইসরায়েলি হামলার কারণে আটকা পড়েছেন।

পাকিস্তান বংশোদ্ভূত হামজা ইউসুফ ইউরোপের প্রথম সারির মুসলিম নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) প্রধান। দলটি ব্রিটেন থেকে স্কটল্যান্ডকে স্বাধীন করার জন্য গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

বার্তা সংস্থাটিকে হামজা বলেন, 'গাজায় আমার স্ত্রীর মা-বাবার খাবার ও পানি দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। অবরুদ্ধ গাজা ছাড়তে না পারলে তারা মারা যেতে পারেন।'

তিনি আরও বলেন, 'মাজেদ ও এলিজাবেথ একটি ডিম ও এক চুমুক পানি খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের নাতি-নাতনিদের জন্য খাবার ধরে রাখতে তারা নিজেদের খাবার কমিয়ে দিয়েছেন।'

'দ্রুতই তাদের খাবার ফুরিয়ে যাচ্ছে। তাদের খাবারের মজুদ তলানিতে ঠেকেছে। তারা তাদের শিশুদের নিয়ে বেশি চিন্তিত।'

তিনি টেলিফোনে গাজায় থাকা আত্মীয়দের সঙ্গে কোনো রকমে কথা বলেছেন বলেও রয়টার্সকে জানান।

'যদি সীমান্ত খুলে না দেওয়া হয়, যদি আর কোনো ব্যবস্থা না করা হয় তাহলে সেখানে মানুষ মারা যাবে। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি… আমি জানি না তাদের সঙ্গে আর কোনোদিন দেখা হবে কিনা,' যোগ করেন স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার।

হামজা ইসরায়েলে হামাসের হামলার নিন্দা করেছেন। তিনি স্কটল্যান্ডে এক সিনাগগে গিয়ে নিহত এক ইহুদি পরিবারের সদস্যদের বলেন, 'তোমাদের কষ্ট আমারও কষ্ট'।

রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর গত দুই দিনে গাজায় হামজার আত্মীয়দের কী পরিণতি হয়েছে তা সংবাদমাধ্যম সূত্রে এখনো জানা যায়নি।

Comments