গাজার হাসপাতাল থেকে যা জানালেন আল জাজিরার সাংবাদিক

ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় আহত এক ব্যক্তিকে আল নাসের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ছবি: এএফপি
ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় আহত এক ব্যক্তিকে আল নাসের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ছবি: এএফপি

গাজার হাসপাতালগুলোতে জরুরি চিকিৎসাসামগ্রী দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। ইসরায়েলি বিমান হামলার তীব্রতার সঙ্গে সঙ্গে  হাসপাতালে চাপও বাড়ছে।

আজ বুধবার এমন তথ্যই জানিয়েছেন আল জাজিরার সাংবাদিক হানি আবু ইশেবা।

তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপাতালের সব জায়গায় আহত রোগী রাখা হয়েছে। ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা শুরুর পর গাজা উপত্যকার সব হাসপাতালে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ চিকিৎসা নিতে এসেছেন। হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা ধারণক্ষমতা চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। প্রতিনিয়তই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলার কারণে গাজায় ১০টিরও বেশি হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। বাকি হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রের কার্যক্রমও বন্ধ হওয়ার পথে। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জরুরি সরঞ্জামসহ প্রয়োজনীয় উপকরণের ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে। বৈদ্যুতিক জেনারেটরের তেলও ফুরিয়ে আসছে।

সরেজমিনে নাসের হাসপাতালে পরিদর্শন করে আবু ইশেবা জানান, সেখানে কর্তৃপক্ষ বিশেষ  জরুরি উদ্যোগ নিয়েছে, যার অংশ হিসেবে 'প্রাণের ঝুঁকি নেই, কিন্তু আহত' এমন রোগীদের ছেড়ে দিয়ে গুরুতর আহতদের ভর্তি করানো হচ্ছে।

যাদেরকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেরই চিকিৎসা  পুরোপুরি শেষ হয়নি। তাদের জন্যও হাসপাতালে ভর্তি থাকা জরুরি ছিল। কিন্তু তাদের চেয়েও গুরুতর আহতদের জন্য বাধ্য হয়েই তাদের রিলিজ দিয়ে দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে গাজায় এক ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং ক্রমশ পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।

ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গতকাল পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৭৯১ জনে। যাদের মধ্যে দুই হাজার ৩৬০ জন শিশু।

Comments

The Daily Star  | English

Macroeconomic challenges to persist in Jul-Dec: BB

BB highlights inflation, NPLs, and tariff shocks as key concerns

3h ago