ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে অন্তত ৪২ সাংবাদিক নিহত: সিপিজে

ফিলিস্তিনি সাংবাদিক মোহাম্মেদ আবু হাত্তাবের জানাজায় অংশ নিছেন তার সহকর্মী, আত্মীয়-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব। দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে নিহত হন তিনি। ছবি: রয়টার্স
ফিলিস্তিনি সাংবাদিক মোহাম্মেদ আবু হাত্তাবের জানাজায় অংশ নিছেন তার সহকর্মী, আত্মীয়-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব। দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে নিহত হন তিনি। ছবি: রয়টার্স

সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের (সিপিজে) প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা শুরুর পর থেকে মোট ৪২ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন। 

আজ মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

সিপিজে ১৯৯২ সাল থেকে এ ধরনের তথ্য সংগ্রহ ও নথিবদ্ধ করার পর এতো অল্প সময়ে এতজন সাংবাদিক মৃত্যুর আর কোনো নজির নেই।

সিপিজে এক বিবৃতিতে জানায়, সোমবার পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য মতে, '৪২ সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীর মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৭ ফিলিস্তিনি, চার ইসরায়েলি ও এক লেবানিজ নাগরিক আছেন। এ ছাড়া আরও নয় সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তিন জন নিখোঁজ আছেন ও ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'

গাজায় আল জাজিরার ব্যুরো প্রধান ওয়ায়েল আল-দাহদু'র পরিবারের ১২ সদস্য ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলায় নিহত হন। নিহতদের জানাজায় অংশ নেওয়ার পরদিনই আবার কাজে ফেরেন দাহদু। ছবি: রয়টার্স
গাজায় আল জাজিরার ব্যুরো প্রধান ওয়ায়েল আল-দাহদু'র পরিবারের ১২ সদস্য ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলায় নিহত হন। নিহতদের জানাজায় অংশ নেওয়ার পরদিনই আবার কাজে ফেরেন দাহদু। ছবি: রয়টার্স

সংগঠনটি আরও জানায়, যুদ্ধের খবর সংগ্রহে নিয়োজিত সাংবাদিকরা 'একাধিকবার হামলা, হুমকি, সাইবার হামলা, সেন্সরশিপের শিকার হয়েছেন এবং অনেকের পরিবারের সদস্যরাও প্রাণ হারিয়েছেন।'

সিপিজের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা শাখার সমন্বয়কারী শেরিফ মানসৌর এক বিবৃতিতে বলেন, 'এ অঞ্চলের সাংবাদিকরা এই হৃদয়বিদারক সংঘাতের সংবাদ সংগ্রহ করতে যেয়ে বড় আকারে আত্মত্যাগ স্বীকার করছেন।'

'যারা গাজায় আছেন, বিশেষত তাদেরকে বড় মূল্য চুকাতে হচ্ছে এবং আগামীতে তারা নজিরবিহীন কষ্ট ও ক্রমবর্ধমান হুমকির মধ্য দিয়ে যাবেন। অনেকেই সহকর্মী, পরিবারের সদস্য ও গণমাধ্যমের কাজ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা হারিয়েছেন। অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন, কিন্তু তাদের জন্য নেই কোনো নিরাপত্তা কিংবা বের হয়ে আসার নিরাপদ পথ।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Familiar Dhaka in an unfamiliar mood

The familiar city now appears in an unfamiliar form—no traffic jams, no honking, no packed footpaths

59m ago