পশ্চিম তীরে ৪৮ শিশুসহ নিহত ২০০ ছাড়াল

পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি হামলার পর পুড়ে যাওয়া জিনিসের মাঝে সহায়সম্বল খুঁজে ফিরছেন এক ফিলিস্তিনি। ছবি: রয়টার্স
পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি হামলার পর পুড়ে যাওয়া জিনিসের মাঝে সহায়সম্বল খুঁজে ফিরছেন এক ফিলিস্তিনি। ছবি: রয়টার্স

অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর নিরবচ্ছিন্ন হামলায় দুই ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। যার ফলে হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর পশ্চিম তীরে নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে।

আজ রোববার ফিলিস্তিনের সংবাদমাধ্যম ওয়াফার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

রোববার সকালে জেনিন শরণার্থীশিবিরের প্রবেশ পথের সামনে ইসাম আল-ফায়েদ (৪৬) নামের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী।

বেথলেহেম শহরের দক্ষিণে ধেইশেহ শরণার্থীশিবিরে ওমর লাহাম (২০) নামের এক ব্যক্তির ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

আল জাজিরা উভয় ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে সক্ষম হয়েছে।

৭ অক্টোবর হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় নির্বিচার ও প্রতিশোধমূলক হামলা শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরেও নিয়মিত বিমান হামলা ও স্থল হামলা চলছে। এ অঞ্চলে হামাসের অস্তিত্ব না থাকা সত্ত্বেও হামলা অব্যাহত রয়েছে।

এই দুই নিহত সহ পশ্চিম তীরে ৭ অক্টোবরের পর থেকে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪৮ শিশুও আছে।

অপরদিকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় প্রাণহানির সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার সরকারি মিডিয়া অফিসের মহাপরিচালক ইসমাইল থাওয়াবতা। শুক্রবার তিনি এই তথ্য জানান।

ইসমাইল থাওয়াবতা বলেন, 'গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পতনের কারণে কয়েকদিন ধরে নিহতের সংখ্যা আপডেট করা হয়নি।'

তিনি জানান, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো এক হাজার ৮০০ শিশুসহ তিন হাজার ৭৫০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিক মিলিয়ে অন্তত ২০০ জন নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে সিভিল ডিফেন্স দলের ২২ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।

ইসমাইল থাওয়াবতা জানান, ইসরায়েলের হামলায় ৫১ সাংবাদিক ও গণমাধ্যম প্রতিনিধি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি, যাদের ৭৫ শতাংশই নারী ও শিশু।

 

Comments