মিশরে রোমান সম্রাটের মুখের আদলে হাস্যমুখী স্ফিংক্স আবিষ্কার

মিশরীয় গবেষণা দলের মতে, এটি সম্রাট ক্লদিয়াসের মূর্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শিলালিপির পুরো অংশের মর্মোদ্ধার করা হলে এ বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।
চুনাপাথরের এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটি প্রাচীন রোমান সম্রাট ক্লদিয়াসের চেহারার আদলে তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে
চুনাপাথরের এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটি প্রাচীন রোমান সম্রাট ক্লদিয়াসের চেহারার আদলে তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে

মিশরের প্রত্নতত্ত্ববিদরা মাটির নিচ থেকে একটি 'হাস্যমুখী' স্ফিংক্স মূর্তি আবিষ্কার করেছেন।

আজ মঙ্গলবার কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা দেশটির পর্যটন ও পুরাকীর্তি মন্ত্রণালয়ের (এমওটিএ) বরাত দিয়ে জানিয়েছে,  হাথোর মন্দিরের কাছাকাছি জায়গায় এই মূর্তি আবিষ্কৃত হয়েছে, যার 'মুখে হাসি এবং গাল গুলো ২ জায়গায় ফুলে আছে'।

গত কয়েক মাসে এ ধরনের বেশ কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন খুঁজে পাওয়া গেছে।

চুনাপাথরের এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটি প্রাচীন রোমান সম্রাট ক্লদিয়াসের চেহারার আদলে তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এটি দক্ষিণ মিসরের ১টি ২ তলা বিশিষ্ট সমাধিস্থলের ভেতরে পাওয়া গেছে।

'নিখুঁত ও সুন্দরভাবে নির্মিত' স্ফিংক্স এর মূর্তির পাশে গবেষকরা '১টি রোমান শিলালিপি খুঁজে পান, যেখানে ডেমোটিক ও হিয়েরোগ্লিফিক লিপি ব্যবহার করা হয়েছে'।

মিশরীয় গবেষণা দলের মতে, এটি সম্রাট ক্লদিয়াসের মূর্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শিলালিপির পুরো অংশের মর্মোদ্ধার করা হলে এ বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।

মিশর সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কার করেছে, বিশেষত কায়রোর দক্ষিণে সাককারা নেক্রোপলিস এবং গিজা অঞ্চলে।

গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম, গিজার পিরামিডের ভেতরে ৯ মিটার দীর্ঘ একটি গোপন পথ খুঁজে পেয়েছে। প্রত্নতত্ত্ববিদ জাহি হাওয়াস জানান, এই পথের মাধ্যমে হয়তো ফেরাউন সম্রাট খুফু বা চিওপস এর 'প্রকৃত কবরস্থান' খুঁজে পাওয়া যাবে।

জানুয়ারিতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আরও দক্ষিণের লুক্সোরে প্রত্নতত্ত্ববিদরা রোমান আমলের ১ হাজার ৮০০ বছরের পুরনো একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক শহর' খুঁজে পাওয়া গেছে।

কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, এসব ঘোষণার পেছনে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণ প্রাধান্য পাচ্ছে—বৈজ্ঞানিক গবেষণা নয়। মিশরে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট চলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দেশটি পর্যটন খাতের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।

২০২৮ সাল নাগাদ সরকার ৩ কোটি পর্যটক আকর্ষণের পরিকল্পনা করছে। মহামারি আগেই এই সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৩০ লাখ।

Comments