অস্ত্র-গোলাবারুদ হস্তান্তর করেছে ভাগনার গ্রুপ: রাশিয়া

ছবি: রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়/রয়টার্স

ভাড়াটে সেনার দল ভাগনার গ্রুপ রাশিয়ার সেনাবাহিনীর কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ হস্তান্তর করেছে বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

আজ বৃহস্পতিবার দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তারা ভাগনার গ্রুপের কাছ থেকে শতাধিক ট্যাঙ্ক এবং ২ হাজার ৫০০ টনেরও বেশি গোলাবারুদসহ ২ হাজারেরও বেশি অস্ত্র পেয়েছে।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ হস্তান্তর থেকে বোঝা যায়, গত মাসে বিদ্রোহ থেকে সরে আসার সময় ভাগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন ক্রেমলিনের সঙ্গে যে চুক্তি করেছিলেন, তার অন্তত কিছুটা অনুসরণ করছেন।

বেলারুশের নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় হওয়া ওই চুক্তির আওতায়, বেলারুশে নিরাপদ নির্বাসনের বিনিময়ে বিদ্রোহ থেকে সরে আসেন প্রিগোশিন। চুক্তির অংশ হিসেবে প্রিগোশিনের ও তার গ্রুপের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগও তুলে নেওয়া হয়।

ভাগনার বিদ্রোহ শেষ হয়ে যাওয়ার পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, ভাগনার যোদ্ধারা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি করতে পারে, বেলারুশ চলে যেতে পারে বা বাড়ি চলে যেতে পারে।

বিদ্রোহের সময় ভাগনার বাহিনীকে বিভিন্ন ধরনের উড়োজাহাজ বিধ্বংসী অস্ত্র বহন করতে দেখা যায়। তারা রুশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে এক লড়াইয়ে ৬টি হেলিকপ্টার এবং একটি উড়োজাহাজ গুলি করে ভূপাতিত করে।

এদিকে মস্কোর সঙ্গে চুক্তিতে প্রিগোশিন বেলারুশে চলে যাওয়ার বিষয়ে সম্মত হলেও এই সপ্তাহে তাকে রাশিয়ায় স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে দেখা গেছে। ফলে ক্রেমলিনের সঙ্গে প্রিগোশিনের বর্তমান সম্পর্ক কেমন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।

লুকাশেঙ্কো প্রথম দিকে বলেছিলেন, প্রিগোশিন ২৭ জুন বেলারুশ চলে গেছেন। কিন্তু ক্রেমলিন গত সোমবার জানায়, বিদ্রোহের ৫ দিন পর গত ২৯ জুন প্রিগোশিন পুতিনের সঙ্গে ক্রেমলিনে দেখা করেছেন।

প্রিগোশিনের বর্তমান অবস্থান অজানা। তবে তার ব্যক্তিগত জেটের ফ্লাইট ট্র্যাকিং ডেটা অনুসারে, তিনি তার জেটে করে মস্কো ও সেন্ট পিটার্সবার্গের মধ্যে বেশ কয়েকবার উড়ে গেছেন। ওই অঞ্চলে তাকে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় নিউজ আউটলেটগুলো।

 

Comments

The Daily Star  | English

US strikes on Iran: what you need to know

Trump said the United States struck three main Iranian nuclear sites: Fordo, Natanz and Isfahan, with the former being hit with a "full payload of bombs."

5m ago